বাবা ছিলেন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম কিংবদন্তি স্পিনার। ছেলে পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে ঘূর্ণি জাদু দেখিয়ে যাচ্ছে, অথচ গ্যালারিতে তিনি নেই। থাকবেন কি করে? ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন কালজয়ী লেগ স্পিনার আব্দুল কাদির। তার ছোট ছেলে উসমান কাদির জিম্বাবুয়ে সিরিজে যে ভেলকি দেখালেন, তা দেখতে পেলে সবচেয়ে বেশি খুশি হতে পারতেন আবদুল কাদির। উসমান আজ কিপ্টে বোলিংয়ের প্রদর্শনীতে দলের জয়ের পথ পরিস্কার করে হয়েছেন ম্যাচসেরা।
জিম্বাবুয়েকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে অভিষেক ২৭ বছর বয়সী উসমানের। আজ শেষ ম্যাচ জয়ের নায়ক উসমান কাদির। একাই ধসিয়ে দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ। সিরিজ যত এগিয়েছে, ম্যাচপ্রতি বেড়েছে উসমানের উইকেটের সংখ্যা। প্রথম ম্যাচে মাত্র ১ উইকেট পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে পেয়েছিলেন ৩টি। আর আজ ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৪ উইকেট। ৩ ম্যাচে ১১ ওভার বল করে মাত্র ৫.৪৫ ইকনোমিতে ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হয়েছেন উসমান।
পাকিস্তান কিংবদন্তি আব্দুল কাদিরের তিন ছেলেই ক্রিকেট খেলে। তবে তাদের নামডাক নেই বললেই চলে। উসমান কাদির সেই আক্ষেপ ঘুচালেন। বাবার মতো তিনিও লেগ স্পিনার। তবে উসমান চেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে। এজন্য অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব নেওয়ার চিন্তাও করেছিলেন। ২০১৮ সালে খোলাখুলিভাবেই উসমান এ কথা বলেছিলেন। এছাড়া তিনি ২০১২–১৩ মৌসুম থেকে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে আসছেন। গত বছর পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়া সফরে দলে সুযোগ পেয়েও কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি। এবার প্রথম সুযোগেই তিনি বাজিমাত করে দিলেন।
Leave a Reply