ঘড়ির কাটায় নির্বাচনের দিনক্ষন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ভোটারদের মধ্যে বাড়ছে নাভিঃম্বাস। এদিক থেকে বিএনপি প্রার্থী ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে আওয়ামীলীগে। কারণ দলটিতে নৌকা প্রতিকের বিরুদ্ধে খাড়া হয়েছে একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী। তিনি শক্ত অবস্থানে আছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ ভোট করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। ফলে আপাতত ভোট কাটাকাটি ও কেন্দ্র দখলের আগাম অভিযোগ নেই প্রার্থীদের মাঝে। কোটচাঁদপুর সরজমিনে পরিদর্শন করে জানা গেছে, এখন বইছে নির্বাচনী আমেজ। প্রচারণা চলছে পুরোদমে। ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী থাকায় একক প্রার্থী দিয়ে সুবিধা নিতে মরিয়া বিএনপি। কোটচাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী রয়েছেন চারজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মোঃ শাহাজান আলী (নৌকা) বিএনপির , এস কে এম সালাউদ্দিন বুলবুল সিডল ( ধানের শীষ) বর্তমান পৌর মেয়র, জাহিদুল ইসলাম জিরে( নারকেল গাছ) ও আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মো: সহিদুজ্জামন সেলিম( মোবাইল ফোন) । নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পুরোদমে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন আর বিএনপি প্রার্থী গণসংযোগ করছে নীরবে। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী সহিদুজ্জামান সেলিম নির্বাচনের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।গত নির্বাচনে ফেল করার পর থেকে মাঠ ছাড়েননি তিনি পৌর বাসির সাথেই ছিলেন তিনি। তিনিও একজন শক্ত প্রতিদদ্বী। ফলে সবাই ভাবছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেওয়ায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। , পৌর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’র পক্ষে কাজ না করার জন্য কঠোর নির্দেশনা জারী করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শাহাজান আলী দাবি করেন, ‘আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। এ ছাড়া সংগঠনের অনেকেসহ সাধারণ জনগণও আমার পক্ষে। পৌর এলাকায় চোখে পড়ার মতো কোন উন্নয়ন হয়নি। জনগনের ট্যক্সের টাকা তছরুপ করা হয়েছে। ভুয়া বিল ভাউচারে টাকা লোপাট করা হয়েছে। এ সব খবর ভোটাররা জানে। তাই এ নির্বাচনে আমি জয়ী হবো।’ বর্তমান মেয়র সতন্র প্রাথী আমি এই পৌরসভার দুইবার নির্বাচিত মেয়র। পৌরসভার অনেক উন্নয়ন করেছি। উন্নয়ন মূলোক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে আমাকে আবারও ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচত করবে জনগন। বিএনপি প্রার্থী ও সাবেক মেয়র এস কে এম সালাউদ্দিন বুলবুল সিডল বলেন , এই নির্বাচন নিয়ে সাধারণ ভোটারের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভোট দেওয়ার মতো অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। এমন অবস্থা থাকলে ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক ভোটার উপস্থিত হবেন। তিনি বলেন একযুগ ধরে বিএনপি নির্যাতিত। মামলা হামলায় আমরা বিপর্যস্ত। তারপরও ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছি। সুষ্ঠ স্বাভাবিক নিরেপক্ষ নির্বাচন হলে ধানের শীষের বিজয় আসবেই বলে মনে করছেন তিনি। সাধারণ ভোটার রা জানান স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে দল মত নির্বিশেষে। পৌর সভার উন্নয়ন মূলোক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে পারবে, এমন প্রাথী কে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচত করা হবে।
Leave a Reply