১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ।। ১৫.৩৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) কর্তৃক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত দলটির পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। সমাবেশের শেষপ্রান্তে এসে এই লাঠিচার্জ করা হয়।
বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন, পুলিশের লাঠিচার্জে তাদের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুলিশ এ সময় বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে বলেও দাবি দলটির।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এই সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশ যখন শেষ পর্যায়ে, তখন কদম ফোয়ার দিক থেকে পুলিশ একযোগে সমাবেশের দিকে আসে। মুহূর্তের মধ্যে সমাবেশের নেতা-কর্মীরা তোপখানা রোড, জাতীয় প্রেস ক্লাবের গেইট ডিঙিয়ে পালাতে থাকে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে পুরো সমাবেশ পন্ড করে দেয়।
নেতা-কর্মীদের পুলিশ এলোপাতাড়ি লাঠিপেটাও করে। নেতা-কর্মীরাও তখন ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারে পুলিশের দিকে।
দুপুর ১২টায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। প্রায় ৫ মিনিট বক্তব্যের পরপর এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ফুটপাতে প্রধান অতিথির সামনে এসে বক্তৃতা বন্ধ করতে বলেই লাঠিচার্জ করে কর্মীদের ওপর। এ সময়ে নেতাদের কেউ কেউ জাতীয় প্রেস ক্লাবের দেয়ালের ফাঁক দিয়ে ভেতরে আশ্রয় নিতে দেখা যায়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভেতরে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নাজিম উদ্দিন আলম , সাইফুল ইসলাম ফিরোজ সহ নেতৃবৃন্দ আশ্রয় নেন। সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হলে দুপুর পৌনে ১টার দিকে তারা চলে যান।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি ও দলের যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে এবং দক্ষিণের কাজী আবুল বাশার ও উত্তরের আবদুল আলীম নকীর পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরফত আলী সপু, তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেন, মহানগরের মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, ছাত্রদলের ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আক্তারুজ্জামান রঞ্জন, নাজিম উদ্দিন আলম, আবদুস সালাম আজাদ, শিরিন সুলতানা, শামীমুর রহমান শামীম, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, আকরামুল হাসান, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, এসএম জাহানঙ্গীর, মহানগর বিএনপির ইউনুস মৃধা, নবী উল্লাহ নবী, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, তাঁতী দলের আবদুল কালাম আজাদ, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, জাসাসের লিয়াকত আলী, শাহরিন ইসলাম শায়লা, আরিফুর রহমান মোল্লা, জাকির হোসেন রোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কাজী ইফতেখায়রুজ্জামান শিমুল, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক জামাল হোসেন টুয়েল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply