মোঃ এনামুল হক, গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা।
মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি গঠনে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ভূমিকা শীর্ষক গাইবান্ধায় জেলা কর্মশালা-২০২১ অনুষ্ঠিত হয়েছে।মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৫ম পর্যায়) গাইবান্ধা জেলা কার্যালয় এর আয়োজনে শনিবার সদর উপজেলার খোলাহাটির কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ( টিটিসি) হলরুমে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন- মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৫ম পর্যায়) প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব রঞ্জিত কুমার দাস। এতে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল মতিন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন- গাইবান্ধা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিকুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হোসেন আলী, গাইবান্ধা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র টিটিসি অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আব্দুর রহিম, হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাষ্ট গাইবান্ধা জেলা দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্রাষ্ট কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, যুগান্তর পত্রিকার গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি গোবিন্দলাল দাস, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি রনজিত বকসী সূর্য, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ পরেশ চন্দ্র সরকার।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-গাইবান্ধা ইসলামিক ফাউন্ডেশন উপ-পরিচালক শাহাজাহান আলী, প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সভাপতি কে,এম রেজাউল হক, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের উপজেলা মনিটরিং কমিটির সদস্য গৌতম চন্দ্র মদক, সদস্য দীপক কুমার পাল, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম গাইবান্ধা ব্রীজরোড দূর্গাবাড়ী মন্দির শিক্ষক অর্চনা রানী।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন-রংপুর বেগম রোকেয়া কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শাহ আলম ও সম্পা দেব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ৫ম পর্যায় গাইবান্ধার সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ( করতোয়া, ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র, বালাসী, যমুনা) ৫টি গ্রুপে গ্রুপ ভিত্তিক আলোচনা করা হয়। এতে করতোয়া গ্রুপে সমন্বয়কারী হিসেবে ছিল মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৫ম পর্যায়) রংপুর এর সহকারী প্রকল্প পরিচালক সঞ্জয় কুমার পাল, ঘাঘট গ্রুপে পঞ্চগড় এর সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোঃ হাবিবুল্লাহ সিদ্দিকি। ব্রহ্মপুত্র গ্রুপে লালমনিরহাট সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোঃ আতাউর রহমান ও কুড়িগ্রাম সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোছাঃ মেঘলা চৌধুরী। যমুনা গ্রুপে- নিলফামারীর সহকারী প্রকল্প পরিচালক নিরঞ্জন কুমার ঘোষ। বালাসী গ্রুপে- ঠাকুরগাঁও সহকারী প্রকল্প পরিচালক ইন্দ্রোজিৎ রায়।
পরে আলোচনা শুরুর আগে জাতীয় সংঙ্গীত, ভক্তিমূলক গান পরিবেশন ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয়। সে সাথে প্রধান অতিথি ও সভাপতিকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
বক্তারা- মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম এর উপর গুরুত্বারোপ আলোচনা করে বলেন- মন্দিরের মেঝেতে না করে স্কুল নির্মান ও নতুন করে ১০টি স্কুল নির্মানের দাবি জানান। শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করা।
প্রধান অতিথি বলেন- স্কুল শিক্ষকদের জুম এ্যাপ্স চালনায় এক্সপার্ট হতে হবে। না হলে তারা চাকুরী করতে পারবেন না।
Leave a Reply