ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এবার ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী ৮ মার্চ, আর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে ২১ মে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তি বিষয়ক সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রম।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। পরে করোনা সংক্রমণ বাড়লে গত বছরের ১৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে আবাসিক হল খালি করে দেয়া হয়। তবে সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ কমে আসার প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর প্রক্রিয়া শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের পরীক্ষা আছে, তাদের জন্য ১৩ মার্চ থেকে আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে। আর মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে পরীক্ষাগুলো শুরু হবে এবং সাতই এপ্রিল থেকে সার্বক্ষণিক অফিস কার্যক্রম শুরু হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নিশ্চিত করেছেন। তবে তারপরেও ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত কেমন হয় তা নিয়ে অনেকেরই কৌতূহল ছিল। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় সারা দেশ থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে থাকে।
আবেদন অনলাইনে, পরীক্ষা বিভাগীয় শহরে
বৃহস্পতিবার ভিসি ড. মো: আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ভর্তি কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার আবেদন করতে হবে অনলাইনে, আর ভর্তি পরীক্ষা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে আট বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া আগামী ৮ মার্চ সোমবার বিকাল চারটা থেকে শুরু হয়ে চলবে ৩১ মার্চ বুধবার রাত ১২টা (১১:৫৯ মিনিট) পর্যন্ত। আর টাকা জমা দেয়ার শেষ তারিখ পহেলা এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত ১২টা (১১:৫৯ মিনিট) পর্যন্ত।
কবে কোন ইউনিটের পরীক্ষা হবে
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২১ মে ২০২১ তারিখে হবে ক ইউনিটের পরীক্ষা, ২২ মে খ ইউনিটের পরীক্ষা, ২৭ মে গ ইউনিটের, ২৮ মে ঘ ইউনিটের এবং ৫ জুন চ ইউনিটের (সাধারণ জ্ঞান) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিটি পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
এবার ক, খ, গ ও ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেয়া হবে।
তবে চ ইউনিটের ক্ষেত্রে ৪০ নম্বরের এমসিকিউ ও ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/ সমমান পরীক্ষায় আলাদাভাবে ক ইউনিটের জন্য জিপিএ ৩.৫, খ ইউনিটের জন্য জিপিএ ৩, গ ইউনিটের জন্য জিপিএ ৩.৫, ঘ ইউনিটের জন্য জিপিএ ৩ এবং চ ইউনিটের জন্য জিপিএ ৩ থাকতে হবে।
সূত্র : বিবিসি
Leave a Reply