1. admin@banglahdtv.com : Bangla HD TV :
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন

মাদরাসাছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ ও ধর্ষণের পরে অপহরণ, গ্রেফতার ২

Coder Boss
  • Update Time : শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৪৯৩ Time View

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আলাইয়াপুর ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামে এক মাদরাসাছাত্রীর বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে সেটি ভাইরালের ভয় দেখিয়ে তাকে কয়েকবার ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। জানা গেছে অপহরণের দু’মাস পর ওই মাদরাসাছাত্রীর কোনো সন্ধান পায়নি তার পরিবার।

এর আগেও ওই ছাত্রীকে অপহরণ করেছে ওই যুবক। পরিবারের তথ্য মতে, দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নির্যাতনের শিকার হয়ে অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন হীরাপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম ইমন (২৩) ও কাজী সিরাজের ছেলে ফয়সাল (২২)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের লেদনের ছেলে জোবায়ের (২৩), সোনাইমুড়ীর কামাল হোসেনের ছেলে সামছুল হক রাসেল (২৬), ফয়সাল ও ইমন আলাইয়াপুর ইউনিয়নের হিরাপুর গ্রামের অষ্টম শ্রেণীর মাদরাসাছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারকে অবহিত করে ভুক্তভোগীর পরিবার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৩ মার্চ তারা ভুক্তভোগী বাড়িতে গিয়ে কৌশলে তার মাকে কোমল পানীয়র সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কিশোরীকে অচেতনের পর বিবস্ত্র করে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে। এ ছাড়াও মোজাম্মেল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে ডেকে এনে জোর করে ভুক্তভোগীর সাথে দাঁড় করিয়ে উভয়কে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে তারা।

এরপর ওই ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে টাকা, স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় এবং পরে একাধিকবার ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে। কিশোরীর বাবা বেঁচে না থাকায় বাধ্য হয়ে তাকে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়। তারপর রেহাই পাইনি পরিবারটি। বিয়ের পরে ভুক্তভোগী কিশোরী বাবার বাড়িতে বেড়াতে এলে তাকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এ সময় তারা ঘর থেকে ৫০ হাজার টাকা, এক ভরি স্বর্ণালঙ্কারও নিয়ে যায়। এরপর থেকেই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে নিয়মিত চাঁদা নিতে থাকেন তারা। উঠিয়ে নেয়ার তিন মাস পরে রাসেলকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মিরপুরের একটি বাসা থেকে ভুক্তভোগীর মা তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার ১৫ দিন পর রাসেল পুনরায় বাড়ি থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ১০ দিন পর আবারো ১০ হাজার টাকা দিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাসেল আবারো ভুক্তভোগীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। কিশোরীকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গত সপ্তাহে রাসেল এক লাখ টাকা দিতে প্রস্তাব দেয় ভুক্তভোগীর মাকে। টাকা না দিলে ভুক্তভোগীর মাকেও মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার জানান, এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। অপহৃতাকে উদ্ধার ও বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 banglahdtv
Design & Develop BY Coder Boss