বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে নারীর উন্নয়ন ও কল্যাণে যা কিছু হয়েছে, তা বিএনপির নেতৃত্বেই হয়েছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার সকালে নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বেগম রোকেয়া এই উপমহাদেশে বিশেষ করে বাংলাদেশে নারীদের উন্নয়নের জন্য, তাঁদের অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসার জন্য প্রতিকৃতের ভূমিকা পালন করেছিলেন। এরপর যে নারীনেত্রীকে, যে রাজনীতিবিদকে সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা জানাতে চাই, তিনি হচ্ছেন খালেদা জিয়া। যিনি এই দেশে নারীদের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় কাজটি করেছিলেন। মেয়েদের লেখাপড়ার সুযোগ-সুবিধা করে দেওয়ার জন্য বিনা বেতনে গ্র্যাজুয়েশন পর্যন্ত পড়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। এটা একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিল।’
সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হচ্ছে। এই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যাঁরা অধিকারের জন্য আন্দোলন করছেন, ছাত্রনেতা, লেখক, সাংবাদিক, শ্রমিক তাঁদের ওপর নির্মম নির্যাতন চলছে। আজকে দুর্ভাগ্য এই জাতির ৫০ বছর পরও আমরা এ কথা বলতে পারি না যে আমরা স্বাধীন। আমাদের মা-বোনেরা তাঁরা নিরাপদে চলাফেরা করতে পারেন না। এই সরকার সবার স্বাধীনতাকে হরণ করে নিয়েছে।’
প্রধান বিচারপতির সাম্প্রতিক একটি বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সামাজিক গণমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়া ঠিক নয়। আপনি যে অভিমতগুলো দিয়েছেন, সেটা অবশ্যই শিরোধার্য। একটা প্রশ্ন রাখতে চাই মাননীয় প্রধান বিচারপতি। দেশের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয় ব্যঙ্গচিত্র করলে। কিন্তু মানুষ খুন করলে, কথা বলার জন্য, কার্টুন আঁকার জন্য তাঁদের যদি সরকারি হেফাজতে খুন করা হয়, তাতে কি দেশের ইমেজ বাড়ে?’
সমাবেশে মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, মহিলা দলের সাবেক সভাপতি নুরে আরা সাফা, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
সমাবেশে জ্যেষ্ঠ নেতাদের মহিলা দলের নেতা-কর্মীরা নারী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি নয়াপল্টন থেকে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
Leave a Reply