গ্রেফতার গাজীপুরের টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ দিকে মঙ্গলবার গ্রেফতারের পর আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দু’দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বহিষ্কারের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ‘শৃঙ্খলাপরিপন্থী’ কার্যকলাপে জড়িত থাকায় রেজাউল করিমকে (সহ-সম্পাদক, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ ও সাধারণ সম্পাদক, টঙ্গী সরকারি কলেজ শাখা, গাজীপুর) সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলো।
এরই মধ্যে বহিষ্কারের ওই চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে মাদক ও চাঁদাবাজি মামলায় ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিমকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার দু’দিনের রিমান্ডে গাজীপুর মেট্রপলিটন- জিএমপির টঙ্গী পূর্ব থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জিজ্ঞাসাবাদে ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জিএমপি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। জিএমপি দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ ইলতুৎমিশ বলেন, আমরা রেজাউলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছি, গাজীপুরে মাদক সরবরাহের উৎস্যমূলটা কোথায়। মাদক কারবার সংক্রান্তে তার কাছ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, আশা করি মাদক কারবারিদের নির্মূলে আমরা সফল হবো।
এ দিকে জিএমপি টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের স্থানীয় এরশাদ নগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত একটি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যর্থ হয়ে সংশ্লিষ্ট ঝুট ব্যবসায়ী সাজ্জাদুর রহমান মনিরের কাছে পাঁচ লাখ টাকার চাঁদা দাবি করেছিল রেজাউল। ওই ব্যবসায়ী চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছিল। ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী শিল্পী বেগম স্বামীর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে জিএমপি টঙ্গী পশ্চিম থানায় গত ১৬ মার্চ একটি অভিযোগ করেন। তদন্ত শেষে ওই অভিযোগে মঙ্গলবার টঙ্গী পশ্চিম থানায় এফআইআরভুক্ত হয়।
ওই মামলায় অন্য আসামিরা হলেন জুয়েল হোসেন জয় ওরফে বোমা জুয়েল, রাসেল ও কিলার জাকির। রেজাউলের এই সহযোগীরা টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকায় মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ করেন বলে অভিযোগ আছে। তারাও স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মাদক কারবারসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
Leave a Reply