বগুড়ার শেরপুরে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে ফুফুসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা শেরপুর থানায় সোমবার রাতে ধর্ষণ মামলা করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতার আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সুঘাট ইউনিয়নের চকসাদি গ্রামের মোসলেম হোসেনের ছেলে আসলাম হোসেন (৩৯), মজনুর ছেলে মো: সোহাগ (২৫), নুরু হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৫), বেল্লাল হোসেনের স্ত্রী নাবালিকার ফুফু মোছা: রাশেদা ওরফে আসেদা খাতুন (২৫)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আব্দুল মোমিন তার মেয়েকে বাড়িতে মা ও বড় ছেলের নিকট রেখে স্ত্রীসহ কাজের জন্য ঢাকায় যান। গত ৪ মাস আগে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে মেয়ের কিছু অস্বাভাবিক আচরণ দেখেন। মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে সে নিশ্চুপ থাকে। মেয়ের এ অবস্থা জানার চেষ্টা করেন। কিন্তু মেয়ে আমাকে কিছুই বলে নাই। স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে আব্দুল মোমিন আবার ঢাকায় চলে যায়।
মামলার এজাহারে মোমিন বলেন, গত ১৩ মে রাতে আমারে মেয়ে নিখোঁজ হয়। মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান পাই না। পরের দিন ১৪ মে সকালে আমার ভাইয়ের স্ত্রী মোছা: রেনুকার বাড়িতে মেয়ে অবস্থান করছে বলে জানতে পারি। সেখানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে মেয়ে জানায়, তার ফুফু রাশেদা খাতুনের সহযোগিতায় আসলামের বাড়ির একটু দুরে বাঁশ ঝাড়ের ভেতরে আসলাম, সোহাগ, জাহিদুল তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে।
মেয়ে জানায়, আগেও ফুফুর সহযোগিতায় আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ফুলবাড়ি এলাকার মৃত বাবর আলীর ছেলে মো: ভুট্টু মিয়া (৪৫), মৃত সোবাহান আলীর ছেলে মো: আলামিন (৩০), দর্জি মাসুদ (৩৫), পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে।
এ ব্যাপারে আব্দুল মোমিন জানান, আমি আসলামের (১নং আসামি) মুদি দোকানের সামনে দিয়ে যেতে নিলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। আমি এর কারণ চাইলে আসলাম তার দোকানের ভেতর থেকে প্লাস্টিকের পাইপ এনে আমাকে আঘাত করে। আমার চিৎকার শুনে আমার স্ত্রী ও এলাকাবাসী উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। চিকিৎসা নিয়ে স্বজনদের সাথে আলোচনা করে মামলা করি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী অফিসার শেরপুর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: আবুল কালাম আজাদ জানান, রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার চারজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিদের সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে। কিশোরীকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply