নাটোরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হানকে মারধরের মামলায় নাটোর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর নাফিউ ইসলাম অন্তরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অন্তর নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি’র ভাগ্নে ও কোষাধ্যক্ষ ঠিকাদার আমিরুল ইসলাম জাহানের ছেলে। বুধবার সকাল ১১টার দিকে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা তার দফতরে এক প্রেস বিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা প্রেস বিফিংয়ে বলেন, ‘কর্তব্যরত অবস্থায় সরকারি কর্মকর্তার ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা, মারধর ও হত্যার হুমকির কথা উল্লেখ করে প্রকৌশলী আবু রায়হান মামলা করার সাথে সাথে পুলিশের ছয়টি টিম আসামিকে গ্রেফতারের জন্য মাঠে নামে। পরে শহরের বড়গাছা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে নাটোরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, এডিবির অর্থায়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে সিংড়া উপজেলার আত্রাই ও নাগর নদ থেকে সিংড়া পৌর এলাকাকে রক্ষা প্রকল্পের আওতায় অফিস ভবন ও পরিদর্শন বাংলো মেরামত কাজ পায় রংপুরের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজটি করছেন নাটোরের ঠিকাদার আমিরুল ইসলাম জাহান। এই কাজে শিডিউল মোতাবেক মান সম্মত টাইলস লাগাতে বললে ঠিকাদার তাতে অস্বীকৃতি জানায়। সোমবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে এসব বিষয়ে কথা বলার সময় অকথ্য ভাষায় তাকে গালিগালাজ করতে থাকেন ঠিকাদার আমিরুল ইসলাম জাহান। একপর্যায়ে ঠিকাদারের ছেলে নাফিউ ইসলাম অন্তর উত্তেজিত হয়ে আমাকে গলা চেপে ধরে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এতে আমার ঠোঁট কেটে যায় হাত, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লাগে। আমি রক্তাক্ত হয়ে পড়ি।
এ দিকে বুধবার দুপুরে নাটোরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জনসাধারণের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হানকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে বলা হয়, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মীর নাফিউ ইসলাম অন্তর প্রকৌশলীকে মারধর করেননি। ঘুষ চেয়ে না পেয়ে উল্টা প্রকৌশলী তার বাবার মুখে ফাইল ছুড়ে মারায় অন্তর প্রকৌশলীর সাথে বিতর্কে জড়ালে তাকে ফাঁসিয়েছে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে তার পরিবারের কোনো সদস্যকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি।
এ সময় লিখিত বক্তব্য রাখেন নাটোর পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মেহেদী হাসান শুভ। এলাকাবাসীর মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি রঞ্জু, এলাকাবাসী ইমতিয়াজ, ইয়ামিন ও সেলিম।
Leave a Reply