দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান ও তার বিশ্বস্ত সৈনিকেরা উড়ে এসে জুড়ে বসা কেউ নয়ঃ
★বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান ও তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী গনতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য সন্তান দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান।
যার চিন্তা চেতনায় সর্বক্ষণ বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের উন্নয়ন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদকে যিনি লালন করে বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশকে একটি প্রকৃত স্বাধীন ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে পরিচিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। যে কারণে দেশী বিদেশী আধিপত্যবাদী শক্তি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছে, দেশনেত্রীকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে অন্তরীণ রেখেছে, আর দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানকে ১/১১ এর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পঙ্গু করে দেয়ার চেষ্টা করেছে।
আধিপত্যবাদীরা ভালো করেই উপলব্ধি করতে পারছে দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান সর্বক্ষণ দেশেবিদেশে তার ক্যারিশমাটিক নেতৃত্বের মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। বাংলাদেশের জনগণও আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মানে তাঁকেই নেতা হিসেবে চাইছে। আর তাই তাকে নিয়ে আবারও নতুন ফরমেটে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
আর নাহয় ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী হঠাৎ করেই কেন বিএনপির কান্ডারীকে ২ বছরের জন্য অবসরে যেতে বলবেন? আবার দালাল পত্রিকাটি কেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে উনাকে নিয়ে নেগেটিভ নিউজ করবে? আর এবার জনাব তারেক রহমান সাহেবের সাথে টার্গেট করা হয়েছে দেশনায়কের বিশাল কর্মযজ্ঞে যারা দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বাসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শত লোভ-লালসা, ভয়ভীতি, অত্যাচার, হামলা-মামলা উপেক্ষা করে যারা কাজ করে যাচ্ছেন, তাদেরকে।
★ জনাব রকিবুল ইসলাম বকুল ১৯৮৫ সাল হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করতে সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন ২০০১ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের হল,বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পরবর্তীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর দেশনায়কের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে সকল কাজে তাঁর সততা,বিশ্বস্ততা, কর্মদক্ষতা, কাজের প্রতি একাগ্রতা, প্রখর বিশ্লেষণ ক্ষমতা গুণে তিনি বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। দেশনায়কের সাথে এতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার পরও উনার বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ উত্থাপনের সুযোগ পায়নি।
১/১১ পরবর্তী সময় হতে অদ্যাবধি দেশনায়কের একান্ত বিশ্বস্তজন হিসেবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছেন। এতো বড় দায়িত্বে থাকার পরও বিনয়, নম্রতা,ধৈর্য্য ও সদাহাসিমুখ, নিজের ক্ষমতাকে প্রকাশ না করা এসকল বিশেষ কিছু গুণের কারণে তিনি অধিক জনপ্রিয় ও সকলের চেয়ে আলাদা।
খুলনা-৩ আসনে নেতৃত্ব শূন্যতার সময় তিনি মনোনয়ন পাওয়ার পর খুলনার ইতিহাসের সর্ববৃহৎ নির্বাচনী মিছিল করেছেন তিনি। তার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তার বাড়িতে এবং বাসার সামনে রক্ষিত কয়েকটি গাড়িতে ভাংচুর করা হয়েছে।
প্রতিটি দুর্যোগ ও প্রয়োজনে ধারাবাহিকভাবে এলাকার মানুষের পাশে রয়েছেন।
শুধু খুলনা-৩ আসন নয়, খুলনা মহানগরী, জেলা তথা খুলনা বিভাগকে বিএনপি সহ সকল অঙ্গসংগঠনকে একটি শক্তিশালী ভিতের দাঁড় করিয়েছেন। তাছাড়াও সারাদেশের মাঠপর্যায়ের জনপ্রিয়, ত্যাগী ও পরীক্ষিত হাজার হাজার কর্মীকে সাংগঠনিক পরিচয় দিয়েছেন।
★জনাব মিয়া নূর উদ্দিন অপু দেশনায়ক তারেক রহমান সাহেবের সাথে থেকে নিজে বিশ্বস্ততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। সারাদেশের লাখো ত্যাগী নেতাকর্মীদের সঠিক তথ্য দেশনায়কের কাছে উপস্থাপন করেছেন। দলের চরম দুঃসময়ে নিজের বিশ্বস্ততার প্রমাণ দিয়েছেন বারবার। এলাকায় প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন, যার ফলে মনোনয়ন প্রাপ্ত হয়ে শরীয়তপুরে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরী করেছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তার উপর মারাত্মক হামলা পর্যন্ত হয়েছে। ২০১৮ এর মিডনাইট নির্বাচনের পর হতে দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে তাকে কারা অন্তরীন রাখা হয়েছে।
★জনাব সাইফুল আলম নীরব ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা তেজগাঁও, ফার্মগেট এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। হয়েছেন শতশত মিথ্যা মামলার আসামী ছাত্রদলের তৃণমূল পর্যায় থেকে নেতৃত্ব দিয়ে নিজ যোগ্যতাবলে থানা, মহানগর ও কেন্দ্রীয় পদ সমূহে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। ঢাকা শহর সহ সারাদেশে সাহসী ও ত্যাগীদেরকে নেতৃত্বে আসীন করেছেন। খুবই বিচক্ষণ, স্পষ্টবাদী, কর্মীবান্ধব ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞাসম্পন্ন ব্যক্তি নীরব ভাই। উনার কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট হয়ে দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান উনাকে ২০১৮ এর নির্বাচনে তেজগাঁও আসনে মনোনয়ন দিয়েছেন।
★এস এম জাহাঙ্গীর আলম ঢাকার রাজনীতির অন্যতম সূতিকাগার তেজগাঁও কলেজ, পরবর্তীতে থানা, মহানগর ছাত্রদল, যুবদলের গুরুত্বপূর্ণ পদে নেতৃত্ব দিয়ে ঢাকার রাজপথে এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। যারজন্য কয়েকশ মামলায় তাকে আসামী করা হয়েছে। অত্যন্ত মেধাবী, বিনয়ী ও সাংগঠনিকভাবে অত্যন্ত দক্ষ একজন ব্যক্তি এস এম জাহাঙ্গীর ভাই। তার ছোঁয়ায় তৈরী হয়েছে শতশত সাহসী কর্মী। যার ফল সরুপ পেয়েছেন উত্তরার উপ নির্বাচনে মনোনয়ন। উনাকে মনোনয়নের যথার্থতা প্রমাণ করেছেন গণসংযোগের সময় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতির মাধ্যমে।
পরিশেষে, একটি কথাই বলবো জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা এমন বিষয় যা জোর করে পাওয়া যায় না, তা অর্জিত হয় যার যার কর্মগুণে। এখানে কেউ-ই উড়ে এসে জুড়ে বসা নয়, সকলেই স্ব স্ব কর্মগুণ,বিশ্বস্ততা, রাজনৈতিক দক্ষতা ও মাঠপর্যায়ের জনগণের মাঝে অবস্থান তৈরী আজকের পর্যায়ে এসেছেন। তাই ষড়যন্ত্রকারীরা দেশনায়কের সবচেয়ে বেশী পরীক্ষীত ও বিশ্বস্তদের এবার টার্গেট করেছে, এর মধ্যে নিশ্চয়ই কোন গূঢ় রহস্য রয়েছে! যতই ষড়যন্ত্র করুন না কেন? যড়যন্ত্র করে আর বেশীদিন পার পাওয়া যাবেনা। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের বিজয় অতি সন্নিকটে,ইনশাআল্লাহ।
ডি জেড এম হাসান বিন শফিক সোহাগ
যুগ্ম সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল
কেন্দ্রীয় কমিটি।
(খুলনা বিভাগীয় টীম)
সাবেক যুগ্ম সম্পাদক
জেলা বিএনপি, নেত্রকোনা।
Leave a Reply