দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বর্তমানে যে হারে টিকা আসছে তা অব্যাহত থাকলে প্রতি সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
টিকা সরবরাহ স্থিতিশীল রয়েছে এবং পর্যাপ্ত টিকার ডোজ পেতে কোনো সমস্যা হবে না বলে ড. মোমেন জানান।
শনিবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ জাপান থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডোজের দ্বিতীয় চালান গ্রহণের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় চালানে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ টিকা এসেছে।
টিকাদান কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকার প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা খুব ভালো কাজ করছে। আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি এবং এখন পর্যন্ত খুব সফলভাবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি।
তিনি বলেন, ‘টিকা নিয়ে চ্যালেঞ্জ আছে এবং আমি মনে করি বেশ দক্ষতার সাথে আমরা সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি।’
সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং প্রত্যেকেরই সচেতনভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা উচিত।
টিকার চালান পাওয়ার পর মোমেন বলেন, ‘আমরা জাপানের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা প্রমাণ করেছে যে তারা সকল বাংলাদেশিদের প্রকৃত বন্ধু।’
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ একটি বড় বৈশ্বিক সমস্যা এবং কোনো দেশই একা এর সমাধান করতে পারবে না।
আগামী ৩ আগস্ট ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজের টিকার তৃতীয় চালান দেশে আসার কথা রয়েছে।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গত ২৪ জুলাই জাপানের কাছ থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ টিকার প্রথম চালান গ্রহণ করেন।
রাতে নারিতা বিমানবন্দরে জাপানে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা নিয়ে যখন কার্গো বিমান ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করে তখন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেন, এটি বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বের বহিঃপ্রকাশ।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোতেগি তোশিমিতসুর সাথে সাম্প্রতিক টেলিফোন আলাপের সময় ডা: মোমেন টিকার বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা সরবরাহ করে বাংলাদেশকে সাহায্য করার অনুরোধ জানান।
ওই সময় তিনি স্পষ্টভাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার জরুরি প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছিলেন। কারণ বাংলাদেশের অনেক সংখ্যক মানুষ সরবরাহ দেরিতে হওয়ায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে পাচ্ছেন না।
জাপান সব সময় বলে আসছে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, এই অঞ্চলের ১৫টি দেশকে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় মোট এক কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করা হবে।
সূত্র : ইউএনবি
Leave a Reply