ছাত্রদলের নতুন কমিটির পাঁচ মাস পূর্ণ হয়েছে গতকাল। ছয় বছর পরে সম্প্রতি ছাত্রদলের ৩০২ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষনা করে ছাত্রদল। গত ১৭ই এপ্রিল কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ কে সভাপতি ও সাইফ মাহমুদ জুয়েল কে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হওয়ার পরপরই দ্রুত ঢাকা মহানগরীর অভ্যন্তরে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর, ঢাকা মহানগর পশ্চিম, ঢাকা কলেজ, তিতুমীর কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, বাংলা কলেজ ও কবি নজরুল কলেজ কমিটি ঘোষণা করে চমক দেয় ছাত্রদল। এর পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। এসব কমিটি গ্রহনযোগ্য ও প্রশংসিত হলেও কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার পরপরই ক্রাইটেরিয়া (এস এস সি ২০০৩ ও তার পরবর্তী, অবিবাহিত) বহির্ভূত নেতাদের কমিটিতে রাখার অভিযোগ ওঠে এবং পদবঞ্চিতদের মাঝে অসন্তোষ ছড়িয়ে পরে। তারা বিএনপি অফিসের সামনে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখান। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৫ তারিখ ৩২ জনের পদ সাময়িক স্থগিত করে ছাত্রদল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, “কমিটি গঠনের পূর্ব আমরা অভিযোগ বক্স স্থাপন করি, এছাড়াও খোঁজ খবর নিয়েছি। তারপরও যদি কেউ তথ্য গোপন কিংবা ভুল তথ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পায়, আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।” অভিযোগের ভিত্তিতে কোন কারন দর্শানো নোটিশ ছাড়াই পদ স্থগিত কেন করা হলো এ প্রশ্নের উত্তরে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন ”এটা সাময়িক স্থগিত। ছাত্রদলের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে একটা বিশেষ মহল ক্রাইটেরিয়ার কারনে পদ দিতে পারিনি আমাদের এমন সহযোদ্ধাদের উস্কে দিচ্ছে। যেন কোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তাই আমরা আমাদের সহযোদ্ধাদের পদ স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত সহযোদ্ধাদের পদ সসম্মানে ফেরত দেয়া হবে।”
গত নির্বাচিত কমিটি (খোকন-শ্যামল) তাদের ২ বছর মেয়াদে কেন্দ্রীয় কমিটি পুর্নাঙ্গ ও ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর কমিটি দিতে না পারায় নেতা কর্মীদের কাছে কিছুটা আস্থা হারায় ছাত্রদল। দ্রুত সময়ে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট কমিটি হলেও ৩২ জন কেন্দ্রীয় নেতার পদ স্থগিত ছাত্রদলকে সংকটে ফেলছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান সোহান বলেন, ”ছাত্রদল সংকটে নয়, ছাত্রদল ঘুরে দাড়াচ্ছে। গত কমিটি তার মেয়াদ পূর্ন করলেও পুর্নাঙ্গ হয়নি, মাত্র পাঁচ মাসে পুর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করায় নেতা কর্মীরা উজ্জীবিত।”
Leave a Reply