ফাইনালে ওঠার দুটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি রংপুর। বরিশাল ম্যাচ জিতে আগামী ১ মার্চ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে শিরোপা লড়াইয়ে নামবে।
১৫০ রানের লক্ষ্যটা যে মোটেও চ্যালেঞ্জিং ছিল না সেটা পরিষ্কার হতে সময় লাগেনি। ৬ উইকেট ও ৯ বল হাতে রেখে রংপুরের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে ফরচুন বরিশাল। বিপিএলের দশম আসরে এটি তাদের চতুর্থ ফাইনাল। ফরচুনের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে দ্বিতীয়।আজ বুধবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে আগে ব্যাট করে শামীম পাটোয়ারির ২৪ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের পরও বড় লক্ষ্য গড়তে ব্যর্থ হয় রংপুর। ব্যাটারদের এনে দেওয়া পুঁজিতে লড়াই জমাতে পারেননি রংপুরের বোলাররা। ফাইনালে ওঠার দুটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি দলটি। বরিশাল ম্যাচ জিতে আগামী ১ মার্চ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে শিরোপা লড়াইয়ে নামবে।
মিরপুরে টস জিতে রংপুরকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বরিশাল। প্রথম ওভার ঠিকঠাক খেললেও দ্বিতীয় ওভার থেকে শুরু হয় রংপুরের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। ওপেনিংয়ে নামা শেখ মাহেদী ফেরেন দ্বিতীয় ওভার করা সাইফউদ্দিনের প্রথম বলে। একই ওভারের শেষ বলে বিদায় নেন সাকিব আল হাসান।
তাঁর ব্যাট থেকে আসে স্রেফ ১ রান। রনি তালুকদারও এদিন সুবিধা করতে পারেননি। ১২ বলে ৮ রান করে আউট হন তিনি।চারে নেমে কিছুক্ষণ লড়াই করেন জিমি নিশাম। গত ম্যাচে দারুণ ইনিংস খেলা এই ব্যাটার অবশ্য ২৮ রানের বেশি করতে পারেননি।নিকোলাস পুরান, মোহাম্মদ নবীও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। অধিনায়ক নুরুল হাসানও করতে পারেননি উল্লেখযোগ্য রান। ১৭ বলে ১৪ রান করে ফুলারের বলে বোল্ড হন তিনি।বাকি সময়টা একাই লড়ে যান শামীম। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২০ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি, যা বিপিএলে সাকিবের সঙ্গে যৌথভাবে দ্রুততম। তাঁকে সঙ্গ দিয়ে দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দেন আবু হায়দার রনি। ৯ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২৪ বলে ৫ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন শামীম। ৭২ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে রংপুর।লক্ষ্য তাড়ায় মেহেদী হাসান মিরাজ ও তামিম ইকবালের ব্যাটে শুরুটা দেখেশুনে করে বরিশাল। স্কোর বোর্ডে রান যোগ হতে থাকলেও ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তামিমকে ফেরান আবু হায়দার রনি। একই ওভারের পঞ্চম বলে মিরাজ লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে আউট হন। তখন কিছুটা চাপে পড়ে বরিশাল।
সেই চাপ বাড়তে দেননি সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম। দুজন মিলে পাওয়ার প্লে পার করার পর দলকে টেনে নিতে থাকেন। তবে দশম ওভারে নবীকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্টাম্পড হন ২২ রান করা সৌম্য, ভাঙে ৪৭ রানের জুটি। সঙ্গী হারালেও কাইল মায়ার্সকে নিয়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন মুশফিক। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে মায়ার্স ১৫ বলে ২৮ করে ফিরলেও ৩৮ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করেন মুশফিক। তাঁর সঙ্গে ডেভিড মিলার ১৮ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন। তাতেই ফাইনালের টিকিট পেয়ে যায় বরিশাল।
Leave a Reply