তল্লাশি চালিয়ে এ সময় তার বাসা থেকে একটি হ্যারিয়ার (ঢাকা মেট্রো-গ-১৩-৪৬১৭) ও আরএভি-৪ মডেলের একটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৫-৬৪০১) জব্দ করা হয়।
এর আগের দিন শনিবার রাতেও তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে রাজ গ্রুপ অব কোম্পানির প্রোফাইল বই, নজরুল ইসলাম রাজ কর্তৃক জালাল উদ্দিনের সাথে সম্পাদিত চুক্তিপত্র, দলিল, পাসপোর্টের ফটোকপি জব্দ করা হয়।
সোমবার (৯ আগস্ট) বিকেলে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাজের বাসা থেকে আমরা গতরাতে দুটি গাড়ি জব্দ করেছি। গাড়ি দুটি কীভাবে কেনা, কার নামে কেনা, কোথায় থেকে, কবে কেনা সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি। এই গাড়ি কেনার অর্থ কীভাবে পেয়েছেন সেটাও আমরা খতিয়ে দেখব।
অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক বলেন, পরীমনির বাসায় মদের সরবরাহকারী ছিলেন রাজ, এছাড়া কথিত মডেলদের দিয়ে বিভিন্ন পার্টি ও ইন্ডোর প্রোগ্রামের আড়ালে বিশিষ্টজন ও ব্যবসায়ীদের ব্ল্যাকমেইল ও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে তা আপাতত প্রকাশ করা হচ্ছে না। এর আগে শনিবার ওমর ফারুক জানান, পরীমনি, পিয়াসা, মৌ, রাজসহ প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আমরা জব্দ করা আলামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আমরা তদন্তের এই পর্যায়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। তাদের প্রতারণা, অনৈতিক কার্যক্রম ও ব্লাকমেইলিংয়ের মতো অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নানা পেশার অনেক নাম আমরা জেনেছি। তবে তা আমরা যাচাই-বাছাই করছি।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৪ আগস্ট রাতে রাজের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে তার বনানীর অফিস থেকে ইয়াবাসহ বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি।
Leave a Reply