বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশে নব্বইয়ের দশকে অর্জিত গণতন্ত্রের পথচলাকে আবারও বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে মাস্তানতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে। তাই গণতন্ত্র ও নির্বাচনের পথে সব বাধা দূর করে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের মালিকানা জনগণের কাছে বিকিয়ে দিয়ে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনশাসন কায়েম করতে হবে।’
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদ নুর হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, নুর হোসেনের আত্মদানকে আমরা বৃথা যেতে দিতে পারি না। নুর হোসেনের মতো সাহসিকতা নিয়ে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আন্দোলন, সংগ্রামের মাধ্যমে জাতির ওপর চেপে বসা চরম দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে হবে। আজকের এই দিনে এটাই হোক আমাদের শপথ।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে গিয়ে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরশাসকের তপ্ত বুলেটের শিকার হয়েছিলেন নুর হোসেন। সেদিন তার আত্মত্যাগ এ দেশের গণতন্ত্র প্রিয় মানুষকে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অনুপ্রাণিত করেছিলো। নুর হোসেনের আত্মদানের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালে সংঘটিত হয়েছিলো সফল ছাত্র গণঅভ্যুত্থান। পতন হয়েছিলো নির্দয় স্বৈরশাসকের, মুক্ত হয়েছিলো বহুদলীয় গণতন্ত্র। আজও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে শহীদ নুর হোসেন আমাদের প্রেরণা। তার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। আর এজন্য আমাদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
Leave a Reply