আওয়ামীলীগ হিংস্রতায় কেড়ে নিচ্ছে মানুষের জান।
আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক হিংস্রতা কেড়ে নিচ্ছে মানুষের জান,হোক সে নিজের আপন জন,আমার চাই চেয়ার। আর এই চেয়ারের তলে পিষ্ট হচ্ছে এদেশের মানুষের অধিকার।
বিএনপি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার কতই না অসহায় মানুষ পরিবার সমাজ দেশ,বর্তমান রাজনীতির সঠিক দিকনির্দেশনা নাই যা আছে তাতে মরণের খেলা মাত্র। আর সেই মরণ খেলা থেকে বেচে যাওয়া একজন মানুষ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান সাহেব। 1,11 তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মঈনউদ্দীন ও ফখরুল উদ্দীনের যোগশাষক বর্তমান সরকারের সাথে ঐকমত্য গড়ে মেরে ফেলার যে চেষ্টা চালিয়েছিলো তা তখন ব্যর্থ হয় এদেশের জনগণের জাগ্রত ভূমিকা পালনে।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আগের টাইমে এতটা ছিলো না মানুষ তার স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার পেতো এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য সহযোগিতা পেতো কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমান সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাশীন দলের আদলে সমন্বিত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ যেনো দলের কেডারের ভূমিকা।
রাজনীতি আর ষড়যন্ত্র পাশাপাশি হাঁটে, চলে, ফিরে ঘুরে! চা খায়, গল্প স্বল্প করে! কিল্তু কেউ কারো পরিচয় জানে না! যখন জানে তখন রাজনীতি সফল ষড়যন্ত্র খতম বা ষড়যন্ত্র জয়ী রাজনীতি ব্যর্থ! আর সেই ব্যর্থ ভূমিকায় অবতীর্ণ বর্তমানে বিএনপি। যদিও দীর্ঘদিন নির্যাতন করার পরেও দলটি আকাশের ছায়ার মতো আঁকড়ে ধরে আছে সেক্ষেত্রে বলায় যাই আবার আসবে ফিরে বিএনপি তাদের অস্তিত্ব নিয়ে।
কেউ কেউ বলেন, রাজনীতি আর ষড়যন্ত্র একই মায়ের পেটের দুই সহোদর শুধু নয়, জমজ ভাই! রাজনীতির জন্ম আগে নাকি ষড়যন্ত্রের পয়দা আগে এ নিয়ে বিস্তারিত বিচারক রায় দিতে গেলে বিব্রত বোধ করবেন! মনে করা হয়, একই সময়ে জগতে পদার্পন করেছে এই দুই বিপরীত বৈশিষ্ট্যেরের । যার ফলেই আজ হতে হচ্ছে লাশ গুম নির্যাতন ধর্ষক ইত্যাদি ইত্যাদি।
রাজনীতি আর ষড়যন্ত্র রেলের দুইটি লাইনের মতো পাশাপাশি নিরাপদ দুরত্বে বসবাস করে, কখনো কেউ কাউকে টাচ্ করে না! করলেই এক্সিডেন্ট! হোক সে দল বা নিজেদের মধ্যে গ্রুপিং কেউ কাউকে ছাড়তে নারাজ। ভাই যাই বলিস আমার চাই চেয়ার। আর সেই চেয়ারের নেশায় আওয়ামীলীগ সরকার এখন সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ।
রাজনীতির সাথে রাজনীতি করে যখন কুলিয়ে উঠা যায় না, তখন বিকল্প যে পথ বা পদ্ধতি বা প্রক্রিয়ায় রাজনীতিতে পুনরায় ফিরে আসতে চায়, এটাই হলো ষড়যন্ত্র! জগতের সবচেয়ে ভয়ংকর ষড়যন্ত্র হলো, “প্রাসাদ ষড়যন্ত্র”! যখন রাজা বাদশা বা সুলতানদের জমানা ছিলো, তখন, প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের বিস্তর ইতিহাস আছে! সিংহাসনের উত্তরাধিকার নিয়ে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের অজস্র লোম হর্ষক আর রক্তপাতের ইতিহাস গল্প কাহিনীকেও হার মানায়! বাদশা শাহজাদা, শাহজাদা শাহজাদা দ্বন্ধে ষড়যন্ত্রে গল্প অনেক! রাজ দরবারে ভাই ভাইয়ের ষড়যন্ত্র অনেক এটা বিদ্যমান এটা রাজনীতি ক্ষেত্রে ও আছেন এমন কি আমাদের চোখের সামনেও এমন ঘটনা অনেক দেখছি । কি দেখছেন না। আমি কিন্তু দেখছি আর সেই ষড়যন্ত্র কারী আওয়ামীলীগ কিভাবে বিএনপি কে নিঃশেষ করতে কৌশল চতুর্বিধ অবলম্বন করছেন। তারপরও এদেশের মানুষের ভালোবাসার কাছে যেনো মাথা উঁচু করে আছে আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসী বাহিনী।এর ফলেই আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসী বাহিনী এখন সাধারণ মানুষের উপরেও নির্যাতন চালিয়েছে।
খুব সাদামাটাভাবে বলা হয়, ক্ষমতাশীন বা সিংহাসনে আসীন রাজা বা বাদশাদের ক্ষমতাচ্যুত করার রাজনীতিকে ক্ষমতাবান প্রভুরা বলেন অপরাজনীতি বা ষড়যন্ত্র! আবার, সত্য সত্য ষড়যন্ত্র বলেও রাজনীতিতে একটা বিষয় রয়েছে যা সংঘটিত করে ক্ষমতাশীনদের খুবই ঘনিষ্ট বা কাছের বা বিশ্বাসী পারিষদবর্গ, ক্ষমতার লোভে পড়ে! যেমনটা আওয়ামীলীগ তার বহিঃপ্রকাশ এবং আপনার আমার বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
রাজনীতি যেখানে ব্যর্থ ষড়যন্ত্রের সেখানে উত্থান! ষড়যন্ত্র সফল হলে তা আর ষড়যন্ত্র বলে গণ্য হয় না খুব একটা! তখন সেটা স্মার্ট রাজনীতি হয়! যেমনটা আওয়ামীলীগ সরকারের এমপি মন্ত্রীরা ভাবে এমনকি দলের সভানেত্রী ও ভাবেন তারা বলছেনও কিন্তু এদেশের জনগণ ঠিক বুঝতে পেরেছেন এবং বুঝছেন।
আসল কথা, যাহা কিছু গোপন তাহাই ষড়যন্ত্র, যাহা কিছু প্রকাশ্য তাহাই রাজনীতি! অর্থাৎ দিনের আলোতে হয় রাজনীতি, রাতের অন্ধকারে ঘটে ষড়যন্ত্র! হত্যা গুম ধর্ষণ ইত্যাদি ইত্যাদি। ক্ষমতায় আসার জন্য ভাই ও যেনো হয়ে উঠে শত্রু।
কথা একটাই নোঃরামি রাজনীতি দুর করুন সঠিক দিকনির্দেশনা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করুন । কি করবেন এখন থেকেই ভাবতে হবে এদেশের মানুষের। এবং এগিয়ে আসতে হবে হবে এদেশের সকল স্তরের মানুষের তাহলেই এদেশের রাজনৈতিক দল গুলো তাদের অস্তিত্ব ধরে রাখতে পারবে সহ মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে।
Leave a Reply