মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পাওয়া ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মরহুম মাহবুব আলী খাঁন স্মৃতিসংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাদিক ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান, সিলেট ৩ আসনের গনমানুষের নেতা আহমেদ সাদিক।।
আহমেদ সাদিক বলেছেন, জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল একটি ‘ন্যক্কারজনক ঘটনা’।আজ বুধবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
আহমেদ সাদিক বলেন, স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জামুকার ৭২তম সভায় জিয়াউর রহমানসহ এই পাঁচজন এবং তাঁদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কেবল একজন সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, তিনি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। বাঙালি জাতির চরম দুর্যোগ মুহূর্তে বাঙালি সামরিক অফিসারদের মধ্যে তিনিই প্রথম পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। একজন সেক্টর কমান্ডার এবং মুক্তিবাহিনীর অন্যতম ব্রিগেড জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে রণাঙ্গনে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অঞ্চলে মুক্তিবাহিনীর প্রতিরোধযুদ্ধকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ স্টালিনগ্রাদের যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক ও বীরত্বসূচক অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সরকার শহীদ জিয়াকে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দিয়ে সম্মানিত করেছে। অবিলম্বে তিনি এই হিংসাত্বক সিদ্ধান্ত বাতিল করার দাবী জানান।
Leave a Reply