জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়েছে। প্রার্থীদের কেউই তাঁর কাছে অভিযোগ করেননি।
অপরদিকে জীবননগর পৌরসভায় কেন্দ্রগুলো প্রথম থেকেই আওয়ামী লীগের কর্মীরা নিয়ন্ত্রণে নেন। প্রথম থেকেই ধানের শীষের পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মাত্র একটি কেন্দ্রে একজন এজেন্ট যাওয়ার ১০ মিনিট পর নৌকার লোকজন তাঁকে বের করে দেন।
সকাল সাড়ে নয়টায় উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান কবির। লিখিত বক্তব্যে তিনি করেন, ধানের শীষের এজেন্টকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ায় প্রশাসনের কাছে জানালে কর্মকর্তারা বলেন, ‘ওপরের নির্দেশ আছে, নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রে জোর করে নৌকায় সিল মারতে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসন পরস্পরের সহযোগিতা করেছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা, ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের জানানো সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই এই প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করলাম।’
জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মুনিম লিংকন অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, জীবননগর পৌরসভায় এবার ভোটের উৎসব হয়েছে। ভোটের অনিয়ম নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি।
এদিকে রোববার রাত আটটার পর সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জীবননগর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ও আলমডাঙ্গায় হাসান কাদির বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
Leave a Reply