নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীদের সাথে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে, এছাড়াও দুপক্ষের অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশীরহাট বাজারের তরকারি বাজারের সামনে এই ঘটনা ঘটে। উপজেলায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন, উপজেলার বড়রাজাপুর গ্রামের আবদুল ওয়াহিদের ছেলে সাইদুর রহমান (২৬), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নুরুল অমিত (২০), বসুরহাট পৌরসভার আবুল কালামের ছেলে রায়হান (২০)।
অপরদিকের চরফকিরা ইউনিয়নের মো: কাঞ্চন (৬০), মুছাপুর ইউনিয়নের আবুল খায়েরের ছেলে মাসুদ (২৫), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আবদুস সাত্তারের ছেলে কামরুল হাসান (৩০), চরফকিরা ইউনিযনের আবদুল মান্নানের ছেলে ফরহাদ (৪০), চরফকিরা ইউনিয়নের বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির (২৮) বসুরহাট পৌরসভা এলাকার আদনান (২৪), মারুফ (২৫) সহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো: সেলিম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ‘গুলিবিদ্ধ তিনজনসহ গুরুতর আহত পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এছাড়া গুরুত্বর আহত আরো দুজন স্থানীয় প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাদের মির্জা বৃহস্পতিবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দিলে আ’লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশীরহাট বাজারে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার বিকেলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন। বাদলের অনুসারীরা চাপরাশীরহাট বাজারে মিছিল করতে গেলে কাদের মির্জার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কাদের মির্জা উপস্থিত হলে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় এবং তারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে সংঘর্ষে জড়ানো নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। পরে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply