নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে শ্রমিক লীগ নেতা আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনায় আবদুল কাদের মির্জার নামে দায়ের করা হত্যা মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (আমলী আদালত-৪) বিচারক এসএম মোসলেহ উদ্দিন এ আদেশ দেন।
মামলায় বাদিপক্ষের আইনজীবী হারুনুর রশিদ হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে তার ভাই সাহাদাত হোসেন ও ছেলে মাশরুর কাদের তাসিক মির্জাসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আরো ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
গত ১৪ মার্চ নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (আমলী আদালত-৪) আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের ভাই এমদাদ হোসেন।
আদালত শুনানি শেষে বাদির আরজিতে উল্লেখ করা ঘটনার বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ইতিপূর্বে কোনো মামলা হয়েছে কিনা, তা জানতে চেয়ে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ওসিকে নির্দেশ দেন। সে আলোকে সোমবার থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়।
উল্লেখ্য, মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বাদলের অনুসারীদের মধ্যে ৯ মার্চ সংঘর্ষে শ্রমিক লীগের ওয়ার্ড সভাপতি আলাউদ্দিন (৩২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন ওরফে রাজু সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই, পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জাসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে এজাহার নিয়ে একাধিকবার থানায় যান। এজাহারে ত্রুটি থাকায় পুলিশ এজাহার গ্রহণ করেনি। পরে ১৪ মার্চ আদালতে মামলা করেন এমদাদ।
Leave a Reply