মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলা থেকে জামায়াতে ইসলামীর ১৩ জন নেতা-কর্মী ও রংপুর মহানগরী এলাকা থেকে জামায়াতের আরো তিনজন নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুজিবনগর উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর ইউনিট বৈঠক চলাকালে জেলা জামায়াতের আমির তাজউদ্দিন খান, জার্জিস হোসাইন, উপজেলা আমির খানজাহান আলী, উপজেলা সেক্রেটারি খায়রুল বাশার ও উপজেলা মহিলা জামায়াতের সেক্রেটারি উম্মে হানিসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরো বলেন, গ্রেফতারদেরকে থানায় নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজানো হয়। পুলিশ তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে। যেখানে তিনটি ককটেল, পাঁচটি মোটরসাইকেল ও জিহাদী বই উদ্ধারের নাটক তৈরি করা হয়।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর মহানগরী শাখার বায়তুলমাল সেক্রেটারি ও কর্মপরিষদ সদস্য নূরুল ইসলাম বাদশা, হাজিরহাট থানা শাখার আমির মশিউর রহমান ও থানা সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদকে বিশেষ ক্ষমতা আইন গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানো মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার মহান স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তির মাসে সারাদেশে ২৫৭ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। স্বাধীনতা দিবসে ১৮ জন মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার মেহেরপুরে ১৩ জন ও রংপুর মহানগর থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানো মামলা দায়ের করে সরকার তার ধারাবাহিক জুলুম-নিপীড়ন সংগঠিত করেছে।
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, আমরা সরকারের জুলুম, নিপীড়ন ও মিথ্যা মামলা দায়েরের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা বাড়াবাড়ি বন্ধ করে অবিলম্বে মেহেরপুরে গ্রেফতারকৃত ১৩ জন ও রংপুর মহানগরের তিনজন নেতা-কর্মীসহ আটক সকল নেতা-কর্মীকে মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
Leave a Reply