আবারো শুরু হয়েছে সমুদ্রপথে মানবপাচার। এ ক্ষেত্রে সক্রিয় রয়েছে দেশী-বিদেশী পাচার চক্র। যারা মাছ ধরা নৌকায় ঝুঁকিপূর্ণ পথে ঠেলে দিচ্ছে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের। মালয়েশিয়ায় কাজের আশায় পাচার চক্রের ফাঁদে পা দিচ্ছে অনেকেই।
সর্বশেষ মঙ্গলবার টেকনাফ সাগর উপকূল থেকে নৌকায় ভাসমান অবস্থায় চার দালালসহ ৩০ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।
জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দা। দালালের খপ্পরে পড়ে তারা নৌকায় চড়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। উদ্ধার রোহিঙ্গাদের মধ্যে রয়েছে পাঁচজন শিশু, পাঁচজন পুরুষ ও ১৭ তরুণীসহ ২০ জন নারী।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে উদ্ধারের পর দালালসহ ৩০ রোহিঙ্গাকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের বড়ডিল এলাকায় কোস্টগার্ডের হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরে তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার কথা।
আটকরা হলেন জায়নুব, মো: সালমান, ইসমত আরা, নুরকলিমা, হাসিনা, রাসেদা, আছমা, ছোনোয়ারা, রাবেয়া, রমজানা, দিন খায়াজ, রাইজু, নুর চাদেকা, মোশারফা, রফিকা, নুর ফাতেমা, রোকিয়া বেগম, তসলিমা, ইয়াসমিন, তাসলিমা, হাফসা, আরকান বিবি, চোমুদা খাতুন, সুমাইরা, মো: জমির, আবুল ফোয়েজ, মোস্তেফা, রাসেল, ইউনুস ও রায়হান।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদরদফরের মিডিয়া কর্মকর্তা লে: কমান্ডার বিএন আমিরুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে টেকনাফ সমুদ্র সৈকতের তীর থেকে দালালসহ ওই ৩০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে ট্রলারটি। এ সময় তাদের মালামাল লুটে ট্রলারের ইঞ্জিন নষ্ট করে দেয়া হয়। পরে ট্রলারটি ভেসে উপকূলে এলে তাদের আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ জানান, একটি ট্রলার দিয়ে ৩০ রোহিঙ্গাকে গভীর সাগরে অপেক্ষমাণ আরেকটি বড় জাহাজে তুলে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু রোহিঙ্গাবোঝাই ট্রলারটি জলদস্যুদের কবলে পড়ায় জাহাজে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ট্রলার নিয়ে জেলেরা সাগরে ভাসছিল। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করে টেকনাফ নিয়ে আসে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply