বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ দুই দফা শেষে তৃতীয় দফায় পড়েছে। কিন্তু দিন যতোই গড়াচ্ছে ততই সড়কে বাড়ছে মানুষ, আর কমছে তল্লাশি। বিধিনিষেধের শুরুর দিকে জনসমাগম ও যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশের যে কঠোর ভূমিকা ছিল, এখন তাতে রীতিমত ভাটা পড়েছে।
চেকপোস্টগুলোতে শুরুর দিকে পুলিশের উপস্থিতি চোখে পোড়ার মতো হলেও এখন তেমনটি খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। মুভমেন্ট পাস নিয়ে বিধিনিষেধের শুরুতে যে কড়াকড়ি ছিল তা এখন আলোচনা থেকে বহু দূরে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এখনও চলছে মুভমেন্ট পাস চেকিং। কিন্তু ব্যস্ত সময় সব গাড়িকে এক সঙ্গে তল্লাশি করা সম্ভব হচ্ছে না।
বুধবার মিরপুর রোড, এলিফ্যান্ট রোড, বকশি বাজার মোড়, ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোড, ফার্মগেট, এলাকার প্রতিটি চেকপোস্টেই নীরব ভূমিকায় রয়েছে পুলিশ। ধানমন্ডির শংকরে চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিই চোখে পড়েনি। আবাহনী মাঠের সামনের চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যরা থাকলেও রয়েছেন নীরব ভূমিকায়।
রাস্তায় কয়েকজন পথচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুরুর দিকে পুলিশ ব্যাপক চেকিং করত, যেন তাদের অতিক্রম করাই ছিল দুঃসাধ্য কাজ। কিন্তু কয়েকদিন ধরে রাস্তায় পুলিশ আর কিছু বলছে না। দিন দিন সড়কে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে আর পুলিশে যেন নীরব হয়ে গেছে।
চেকপোস্টে চেকিং ঢিলেঢালাভাবে চলছে কি না এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) জাহিদ আহসান বলেন, যেহেতু সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এখনো লকডাউন চলমান, সেহেতু আমাদের চেকপোস্ট এখনও কার্যকর আছে। রাস্তায় গাড়ির চাপ এখন অতিরিক্ত। পিক আওয়ারে যদি সবগুলো গাড়ি একসঙ্গে চেক করতে যাই, তাহলে রাস্তায় মানুষের ভোগান্তি বেড়ে যাবে। ফলে ওই সময় যাদেরকে দেখে মনে হচ্ছে যে জরুরি প্রয়োজনে বের হননি, তাদেরকে আমরা শুধু চেক করছি।
ট্রাফিক বিভাগের রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রেফাতুল ইসলাম বলেন, রবিবার থেকে রাস্তায় গাড়ির তীব্র চাপ। চেকপোস্টগুলোতে চেক করে কুলিয়ে উঠতে পারছি না। সব গাড়ি যদি চেক করতে যাই, তাহলে রাস্তায় চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়বে। সব গাড়ি চেক করতে গিয়ে হয়তো ৪০ থেকে ৫০টা মামলা হবে, তাতে কিছুই হবে না। উল্টো লোকজন ভোগান্তিতে পড়বে। মোটামুটি অনেক গাড়ি রাস্তায় বের হয়েছে। যারা বের হচ্ছেন প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো কারণ আছেই।
Leave a Reply