দলীয় বিরোধের কারণে ফরিদপুরে শহর আওয়ামী লীগের একাংশের সভা ও ইফতার মাহফিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। ফলে বুধবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে সভা না করেই ফিরে যেতে হয়েছে তাদের। আর ইফতার করতে হয়েছে পামের রেস্টুরেন্টে।
জানা গেছে, সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতি ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ওয়ার্ডভিত্তিক সাহায্য গ্রহীতাদের তালিকা তৈরির লক্ষ্যে শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথুর সভাপতিত্বে এ সভার আয়োজন করা হয়। একইসাথে ইফতারেরও আয়োজন ছিল।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, জেলা কমিটিকে না জানিয়েই এ সভা আয়োজন করায় দাঙ্গাহাঙ্গামার আশঙ্কা ছিল। ফলে তাদের অনুরোধে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে সভা বন্ধ করার অনুরোধ জানানো হয়।
ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, বুধবার বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে সভা শুরু হয়। সভা শুরু পর বিকেল ৫টার দিকে কোতয়ালী থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ এসে সভা বন্ধ করার অনুরোধ জানায়। ফরিদপুরের পৌর এলাকায় যারা নাগরিক কমিটি করছে তারাই প্রতিহিংসার কারণে পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে এ কাজ করিয়েছে।
ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ মাহতাব আলী মেথু বলেন, বর্তমান করোনাকাল ও আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ২৭টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে এ সভা ডাকা হয়েছিল। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে বিষয়টি আগেই জানানো হয়।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, শহর আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে বিভক্তি রয়েছে। একপক্ষ সভা করলে অপরপক্ষ ঝামেলা করতে পারে। আমরা চাইনি এমন কোনো অবস্থার তৈরি হোক। এজন্য জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি দেখতে বলেছিলেন।
Leave a Reply