বরগুনার বেতাগীতে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নে সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটে। পরের দিন মঙ্গলবার বেতাগী থানায় ওই গৃহবধূ নিজেই নারী ও শিশু আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূর স্বামী ইমরান মৃধা ঢাকায় চাকরি করেন। শ্বশুর ও শাশুড়ির সাথে গ্রামের বাড়িতেই থাকতেন ওই গৃহবধূ। সোমবার বিকেলে গৃহবধূর শাশুড়ি তার বাবার বাড়িতে যান এবং শ্বশুর ইফতার করতে মসজিদে চলে যান। এ সময় ওই গৃহবধূ বাসায় একা ছিলেন। পরে একই এলাকার বাসিন্দা খলিল হাওলাদারের ছেলে নাঈম গৃহবধূর দরজার সামনে এসে ডাক দিলে গৃহবধূ দরজা খুলেন। পরে নাঈম ওই গৃহবধূর হাতে কিছু মিষ্টি দেন এবং বলেন এই মিষ্টিগুলো রাখেন, চাচি এলে তাকে দিয়েন। পরে ওই গৃহবধূ মিষ্টি নিয়ে ঘরের ভেতরে চলে যান। এ সময় নাঈম দরজা খোলা পেয়ে ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।

ওই গৃহবধূ আরো বলেন, ‘সন্ধ্যার সময় সবাই ইফতারি তৈরিতে ব্যস্ত থাকায় ও পাশাপাশি কোনো ঘর না থাকায় চিৎকার দিলে কেউ শুনতে পায়নি। পরে আমার শ্বশুর মসজিদ থেকে এলে দরজা বন্ধ দেখে আমাকে ডাক দিলে নাঈম পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান।

এ বিষয় ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ নাঈমকে আসামি করে গত মঙ্গলবার বিকেলে বেতাগী থানায় মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। আসামি পলাতক রয়েছে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’