প্রেমিক আসিফের(২০) বিরুদ্ধে প্রেমিকা সুমাইয়া খাতুন জবার (১৩) পরিবারের দায়ের করা মামলায় আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে জবা বলেছেন, ‘আমাকে অপহরণ করা হয়নি, আমরা ভালোবেসে পালিয়ে বিয়ে করেছি’।
বুধবার জেলা আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে এ দাবি করেন জবা। তার জবানবন্দি আদালতে রেকর্ড করা হয়েছে।
জানা যায়, জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে এক প্রেমিকের বিরুদ্ধে প্রেমিকাকে অপহরণের অভিযোগে মামলা করে প্রেমিকা জবার পরিবার। তবে আসিফের পরিবারের দাবি, তারা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করলেও মিথ্যা অপহরণ মামলা করা হয়েছে। মামলার আরজিতে গত রোববার অপহরণের ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর স্কুলপাড়ার হযরত আলীর মেয়ে সুমাইয়া খাতুন জবা (১৩) গয়েশপুর সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তার সাথে একই গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে আসিফের(২০) প্রেম-ভালবাসার একপর্যায়ে তারা একে অপরকে বিয়ে করতে উভয় পরিবারের অভিভাবকদেরকে না জানিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় জবার বাবা হযরত আলী থানায় অপহরণ মামলা করেন। এ মামলায় প্রেমিক আসিফ ছাড়াও আরো একজনকে আসামি করা হয়েছে।
থানা পুলিশ জবাকে বুধবার সকালে উদ্ধার করে। তবে পলাতক রয়েছে প্রেমিক আসিফ।
এদিকে জবার জবানবন্দি আদালতে রেকর্ড করা হয়েছে। আদালতে জবা দাবি করেন, তারা একে অপরকে ভালোবেসে পালিয়ে বিয়ে করেছেন। তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার কথা সঠিক নয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান বলেন, ভিকটিম জবাকে উদ্ধারের পর তাকে আদালতে হাজির করানো হয় এবং আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। মামলাটি পুরোপুরি তদন্ত শেষে বলা যাবে অপহরণের ঘটনাটি সত্য নাকি তারা প্রেমিক-প্রেমিকা। তারা বিয়ে করেছে কিনা আমাদের জানা নেই।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় অপহরণ মামলা হয়েছে। ভিকটিম জবাকে উদ্ধার করে আদালতের মাধ্যমে তাকে পরিবারের কাছে বুঝিযে দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply