ফরিদপুরের সালথায় একটি হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই নারীর মধ্যে কথাকাটাকাটির জের ধরে অন্তত ৩০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে প্রতিপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামে এক তরফা এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলা ঠেকাতে গিয়ে অন্তত ৫ ব্যক্তি আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। যেকোনো মূহূর্তে আবারো হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, গত ২০ এপ্রিল খারদিয়ার সাধুহাটি এলাকায় ওলিয়ার শেখ নামে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় দুটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই জের ধরে দুপুরে স্থানীয় প্রভাবশালী মাতব্বর রফিক মোল্যার সমর্থক লিপি বেগম সাথে যদুনন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়া সমর্থক আছিরন নেছার কথাকাটাকাটি হয়।
একপর্যায় খবর পেয়ে রফিক মোল্যার সমর্থক ইউনুস মোল্যা ও ইসমাইল মোল্যার নেতৃত্বে প্রায় পাঁচ শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র রামদা, ঢাল-কাতরা-ভেলা নিয়ে আলমগীর মিয়ার অন্তত ৩০ সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। তবে রফিক মোল্যার সমর্থকদের একটি বাড়িতেও হামলা বা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
হামলা ঠেকাতে এসে অন্তত পাঁচজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে মাসুম মোল্যা (১৬) নামে এক তরুণকে ফরিদপুর শেখ মজিবুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আশিকুজ্জামান বলেন, হামলা ও ভাংচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকার পরিবেশ ভালো রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply