শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বনির্ভর বাংলাদেশ এর স্বপ্নদ্রষ্টা, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারকারী। তিনি একদলীয় বাকশাল প্রত্যাখ্যান করে সকল রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। ৪টি গণমাধ্যম থেকে উন্মুক্ত গণমাধ্যম চালু করেন। ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান বলেন ১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তিনি অবিভক্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। সেই সময় আওয়ামী লীগের নেতারা পাকিস্তানের সরকারের সাথে গোপন আঁতাত করে চলছিলেন, বাকিরা কাপুরুষের ন্যায় পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। অথচ সেই সময় মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে উয়ি রিভোল্ট বলে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধাদের সুসংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদেন। আলোচনা সভার সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন জিয়াউর রহমান শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন, অথচ তিনিই ষড়যন্ত্র করে কিছু বিপথগামী সৈন্যরদ্বারা জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেন। অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই হায়েনা সরকার গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অসহায়,গরীব-দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচীতে ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে।
আলোচনা সভায় অন্যান্যেদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. আসাদুজ্জামান রিপন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, এবিএম মোশারফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, আলিমুল ইসলাম আলীম, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান মিন্টু সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং জিয়াউর রহমান এর রূহের মাগফিরাত কামনা করে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও জনাব তারেক রহমানসহ সকল নেতাকর্মীর সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়।
Leave a Reply