চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্তে অবৈধ প্রবেশকারী হিসেবে আটক নারী ও শিশুকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করেই শুক্রবার দুপুরের পর চুয়াডাঙ্গা কোট হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী- বিজিবি জানায়, আগের দিন ভারতের সীমান্ত দিয়ে দামুড়হুদার মুন্সীপুর পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে টহলরত বিজিবির হাতে এক নারী ও শিশু আটক হয়। তারা যশোর জেলার শার্শা থানার নারানপুর গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে সালমা খাতুন (৩৪) ও তার শিশু সন্তান সিহাব (২)।
পরে মুন্সীপুর বিজিবির টহল কমান্ডার নায়েক আ: মান্নান মামলা দায়ের করে তাদেরকে দামুড়হুদা থানায় সোপর্দ করে। শুক্রবার তাদের চুয়াডাঙ্গা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা বলছে, চলমান লকডাউনের মধ্যে বৈধভাবে এসেও ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের নির্দেশনা রয়েছে জেলা প্রশাসনের। কিন্তু অবৈধ পথে এসেও কোয়ারেন্টিন না করে কেন কারাগারে পাঠানো হলো- এমন প্রশ্নে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আব্দুল খালেক জানান, বিজিবি পরে খোঁজখবর নেয়ার জন্য থানায় এসেছিল। কিন্তু কোয়ারেন্টিনের বিষয়ে আমাকে কিছু বলেনি।
এ বিষয় মুন্সীপুর বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো: বারেক মোল্লা জানান, মামলা দিয়ে তাদেরকে দামড়হুদা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে, যা করার পুলিশ কোরবে।
দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সুদীপ্ত কুমার সিংহ জানান, কারাগারেও ১৪দিন আলাদা বা পৃথক করে রাখতে পারে। কিন্তু লকডাউন চলমান রয়েছে এ জন্য আটকের পর পরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রয়োজন ছিল।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা: এ এস এম মারুফ হাসান জানান, এখন পর্যন্ত বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। আপনার কাছে প্রথম শুনলাম।
Leave a Reply