সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ খুলে এক নারী পুলিশ সদস্যের গোপন ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হৃদয় খান নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ২৫ বছর বয়সী হৃদয়কে শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে এক দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
এর আগে ওই নারী কনস্টেবল বৃহস্পতিবার রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হৃদয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই নারী কনস্টেবল কক্সবাজার পুলিশ লাইনসে কর্মরত। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, মামলায় গ্রেফতার হৃদয় খানকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই নারী পুলিশ সদস্য নারায়ণগঞ্জের চাঁনমারী এলাকার বাসিন্দা। তিনি কক্সবাজার জেলা পুলিশ লাইনসে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। হৃদয় খান ওই নারীর আত্মীয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সেই সুবাদে হোয়াটসঅ্যাপে হৃদয়ের সাথে নিয়মিত ভিডিও কলে যোগাযোগ হতো তার। হৃদয় খান তাকে বিয়ের কথা বলেন। তাদের মধ্যে কথোপকথনের পাশাপাশি বিভিন্ন ‘গোপন ভিডিও’ আদান-প্রদান হয়। যা হৃদয় নিজের মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ করে রাখেন। একপর্যায়ে সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হলে হৃদয় তার জিমেইলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। এরপর সেখান থেকে মোবাইল ফোনের সব নম্বর ও ফেসবুকের তথ্য সংগ্রহ করেন। পরে হৃদয় কৌশলে বিভিন্ন পুলিশ সদস্যের মোবাইল নম্বর দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ খুলে ‘গোপন ভিডিও’ ছড়িয়ে দেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফখরুদ্দীন ভূঁইয়া জানান, মামলার পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করে। শুক্রবার সকালে ফতুল্লার সাইনবোর্ড এলাকা থেকে হৃদয় খানকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত এক দিনের অনুমতি দিয়েছে।
এ দিকে আদালত থেকে রিমান্ড মঞ্জুরের পর হাজত খানায় নিয়ে যাওয়ার সময় হৃদয় মামলার বাদিকে উদ্দেশ্য করে চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমি ২০ বছর জেল খাটলেও তোমাকে বিয়ে করবোই!’
এ সময় হৃদয় খানের পক্ষের আইনজীবী লিজাসহ অনেকেই আসামির এমন বক্তেব্যে ও আচরণে হতভম্ব হয়ে পড়েন।
Leave a Reply