নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে বিশেষ লকডাউন চলছে। তবে রোববার লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও প্রথম দিনের মতো বিধিনিষেধ মানার ক্ষেত্রে দেখা গেছে ‘ঢিলেঢালা’ ভাব। আর তা মানাতেও খুব বেশি কড়াকড়ি দেখা যায়নি। বিশেষ লকডাউনে দূরপাল্লার বাস ও দোকানপাট বন্ধ রাখা ছাড়া জনজীবনে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে লকডাউন অমান্য করায় ৪০টি মামলার মাধ্যমে ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৪০টি মামলায় ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করে জেলা প্রশাসন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করে নোয়াখালী জেলা পুলিশ। রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণরোধে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে দিনব্যাপী ছয়টি টিম অভিযান চালিয়ে অর্থদণ্ড করা হয়। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়নে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলোকে সর্বোচ্চ দু’জন যাত্রী পরিবহনে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।
এ ছাড়াও সাধারণ মানুষকে আরোপিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়েও প্রচারণা চালানো হয়। করোনা সংক্রমণরোধে আরোপিত বিধিনিষেধ নিশ্চিতকরণে জেলা প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেল করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন। রোববার ছিল ওই লকডাউনের দ্বিতীয় দিন।
Leave a Reply