করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ঠেকাতে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় চলছে সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন। এ লকডাউনের পঞ্চম দিন মঙ্গলবার মহানগরীতে যানবাহনের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি দেখা গেছে। তবে মার্কেট-দোকানপাট ছিল বন্ধ।
মঙ্গলবার সকালে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগের চার দিনের তুলনায় শহরে রিকশা, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের চলাচল বেশি। সকাল সাড়ে ১০টায় মহানগরীর দড়িখড়বোনা মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের একজন সদস্যকে রিকশা ধরে ধরে চাকার বাতাস বের করে দিতে দেখা গেছে। কিন্তু ওই পুলিশ সদস্য যখন একটা রিকশার বাতাস বের করছিলেন তখন তার পাশ দিয়েই অনেক রিকশা চলে যাচ্ছিল। চেষ্টা করেও যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
এদিকে মঙ্গলবার থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে রাজশাহী শহরে। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালনেও বিঘ্ন ঘটেছে। এ সুযোগে মহানগরীতে যানবাহনের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। তবে লকডাউনের এ কয়েক দিনে সন্ধ্যার পর শহর সুনসান নীরব হয়ে যাচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হক বলেন, সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ-প্রশাসন কাজ করছে। পুলিশ, র্যা ব, আনসারের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতও মাঠে আছে। বিনা কারণে বাড়ির বাইরে বের হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হচ্ছে।
এদিকে সর্বাত্মক লকডাউনের পর রাজশাহীতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনার সংক্রমণ কমেছে। সোমবার রাজশাহীর দুটি পিসিআর ল্যাবে রাজশাহীর ৩৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ১১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। এই হার ৩০ দশমিক ১৭ শতাংশ।
এই হার আগের দিন রোববারের চেয়ে ১১ দশমিক ০১ শতাংশ কম। রোববার সংক্রমণের হার ছিল ৪১ দশমিক ১৮ শতাংশ। আর গত শনিবার ছিল ৫৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত দুই দিনে রাজশাহীতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার কমেছে ২৩ দশমিক ৫০ শতাংশ।
তবে এখনই স্বস্তির শ্বাস ফেলছেন না রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি বলেন, এখন যারা শনাক্ত হচ্ছেন তারা লকডাউন শুরুর আগেই আক্রান্ত হয়েছেন। লকডাউনের সাতটা দিন গেলে কিছুটা উন্নতি হবে। আর লকডাউন সাধারণত ১৪ দিন হলে সবচেয়ে বেশি ভালো ফল পাওয়া যায়।
Leave a Reply