‘শিশুবক্তা’ হিসেবে খ্যাত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে ফের গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২’তে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাকে ময়মনসিংহের কারাগার থেকে গাজীপুরের এ কারাগারে পাঠানো হয়।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেলার আবু সায়েম জানান, ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারের পর কাশিমপুরের এ কারাগারে রাখা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাতটি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে গাজীপুরের গাছা থানায় একটি ও বাসন থানায় একটি, ঢাকার মতিঝিল থানায় দুটি, তেজগাঁও থানায় একটি, পল্টন থানায় একটি এবং ময়মনসিংহের কতোয়ালী থানায় একটি মামলা রয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে একটি মামলায় রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ঢাকা পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে তাকে ময়মনসিংহের কারাগারে নেয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে তাকে ময়মনসিংহের কারাগার থেকে পুনঃরায় কাশিমপুরের এ কারাগারে পাঠানো হয়।
জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাছা থানাধীন বোর্ড বাজার কলমেশ্বর এলাকার শীতক কারখানার ভিতর এক মাহফিলে বক্তব্য দেন রফিকুল ইসলাম মাদানী। সেখানে তিনি রাষ্ট্র তথা সরকারবিরোধী ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী উস্কানী ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ডিজিটাল মাধ্যমে প্রদান করেন। যা তার নির্দেশে ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। উস্কানীমূলক বক্তব্যের কারণে তার অনুসারীরা গত ২৬ মার্চ ঢাকা বায়তুল মোকাররম মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতা করে। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটে।
এঘটনায় গত ৭ এপ্রিল ভোররাতে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার লেটিরকান্দা এলাকার বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব-১-এর সদস্যরা। তিনি ওই এলাকার মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গাছা থানায় ৮ এপ্রিল একটি মামলা দায়ের করেন র্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার (ডিএডি) মো: আব্দুল খালেক। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। গত ২০ এপ্রিল গ্রেফতারকৃত মাদানীকে এ মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
Leave a Reply