বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান বলেছেন, ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিকের বকেয়া বেতন ও উৎসব ভাতা পরিশোধ করতে হবে।

বৃহস্পতিবর সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তারা এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের দেশে আগামী ২১ জুলাই ঈদুল আজহা পালন হতে যাচ্ছে। এ দেশের নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষরা শুধুমাত্র ঈদকেন্দ্রীক উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন। দুঃখজনক হলেও সত্য উৎসব ভাতা দেয়া নিয়ে প্রতি বছর শ্রমজীবী মানুষদের সাথে টালবাহানা করা হয়। অসংখ্য শ্রমিকের নিয়মিত বেতন পরিশোধ করা হচ্ছে না। মাসের পর মাস শ্রমিকের বকেয়া বেতন আটকে পড়ে আছে। যা মোটেও কাঙ্খিত না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করছি ঈদের এক দিন আগে নামকাওয়াস্তে বেতন-ভাতা দিয়ে শ্রমিকদের বিদায় করা হচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষরা প্রাপ্য অধিকার আদায়ের জন্য যখন তাদের কণ্ঠ সুউচ্চ করে তখন মালিক পক্ষ থেকে শ্রমিকদের চাকরি থেকে ছাটাইয়ের হুমকি দেয়া হয়। চাকরি বাঁচানোর তাগিদে মালিক পক্ষের অন্যায় আচরণ শ্রমিকরা নিরবে সয়ে যায়। অবিলম্বে আমাদের এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ঈদের ছুটির আগে শ্রমিকের বকেয়া বেতনসহ উৎসব ভাতা পরিশোধ করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, মহামারীর এই সময়ে কঠোর লকডাউনে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত শ্রমজীবী মানুষরা ছিল অসহায়। কাজ হারিয়ে পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটাতে হয়েছে তাদের। দু-বেলার দু’মুঠো ভাত যোগাড় করতে বড় ঋণের বোঝা মাথায় নিতে হয়েছে। শ্রমিকদের দুর্দশা লাঘব করতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের জন্য বিশেষ বরাদ্ধ দিতে হবে। সরকার কর্তৃক বরাদ্ধ সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকের ঈদ উৎসবকে পরিপূর্ণ করতে সরকার ও মালিক পক্ষকে একসাথে কাজ করতে হবে। কোনো শ্রমিকের ঈদ উৎসব যেন মলিন না হয়ে যায় সে দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। ঈদের আগে টালবাহানার মাধ্যমে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি হলে এর দায় সরকার ও মালিক পক্ষকে নিতে হবে। এই ব্যাপারে আমরা সরকারকে এখনই উদ্যোগি হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

পরিশেষে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনার উচ্চমাত্রার প্রকোপ অব্যাহত আছে। এমতাবস্থায় সকল শ্রমজীবী ভাই বোনদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাই। কল-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মালিক ভাইদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ করছি।