দীর্ঘ ৫৪৩ দিন পর উৎসবমুখর পরিবেশে স্কুলগুলোতে ক্লাস শুরু হয়েছে। এ যেন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মাঝে এক আনন্দের বন্যা। সকলের মুখে ছিলে হাসির ঝলক। সব মিলিয়ে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
সরেজমিনে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খালিশপুর বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করছেন। পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসগুলোতে ফাঁকা ফাঁকা করে শিক্ষার্থীদের বসানো হয়েছে। এ বিদ্যালয় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম দিনে এসএসসি পরীক্ষার্থী, দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ক্লাস করা সুযোগ পেয়েছে।
দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাজমিন জাহান দিশা বলেন, ঘরবন্দী থেকে এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় ছিলাম আমরা। স্কুল খোলার মাধ্যমে যেন দীর্ঘ সময়ের কারাবন্দী থেকে মুক্তি পেয়েছি।
এ বিষয়ে খালিশপুর বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসবমুখর পরিবেশে ক্লাস শুরু করতে পেরেছি। আশা করি ঝুঁকিমুক্তভাবে স্কুলের সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বজায় রাখতে পারব। এক্ষেত্রে স্কুলের বাইরেও যাতে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারে, সে নির্দেশনা প্রতিটি ক্লাসে দেওয়া হবে।
সহকারী শিক্ষক কামরজ্জামান (পলাশ) ও ফারজানা নাহিদ বলেন, স্কুল চলাকালীন পর্যবেক্ষণ টিম শতভাগ মনিটরিং করবে, যাতে কোনভাবেই স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত না হয়। প্রথম দিনে একই নিয়মে এসএসসি, দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ক্লাস করেছে। প্রথম দিনে এখানে ক্লাসভেদে ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছে। এখানে ১৪০০ বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে।
খালিশপুর এমএল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক রেজাউল ইসলাম বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এখানে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা সপ্তাহে ছয় দিন, দশম শ্রেণী সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাস করার সুযোগ পাবে। বাকিদের বেলায় সপ্তাহে একদিন ক্লাস করতে হবে।
খালিশপুর এমএল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সিনিয়র শিক্ষক শাহানাজ পারভীন ও নাজমুন নাহার বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসবমুখর পরিবেশে ক্লাস শুরু করতে পেরেছি। আশা করি ঝুঁকিমুক্তভাবে স্কুলের সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বজায় রাখতে পারব। এক্ষেত্রে স্কুলের বাইরেও যাতে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারে, সে নির্দেশনা প্রতিটি ক্লাসে দেওয়া হবে।
খালিশপুর এমএল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মনির হোসেন বলেন সরকারি নির্দেশনা ও সুশৃঙ্খল শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্কুল চলাকালীন পর্যবেক্ষণ টিম শতভাগ মনিটরিং করবে, যাতে কোনভাবেই স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত না হয়।
Leave a Reply