কিশোরগঞ্জ জেলাধীন বাজিতপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভায় পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার এবং তাদের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ বুধবার এক বিবৃতিতে মোস্তাফিজুর রহমান এবং আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল বলেন, “বর্তমান অবৈধ সরকারের পায়ের নীচের মাটি সরে গেছে বলেই তারা পুরোপুরি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। বিএনপি-কে দমণ করতে সরকার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। অবৈধ ক্ষমতার দাপটে উন্মাদ আওয়ামী সরকার বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে পাইকারী হারে গ্রেফতার করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগের রাতে ভোটের মাধ্যমে নির্লজ্জভাবে দখলকৃত রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে রেখে তারা এখন ফ্যাসিবাদের চরম মাত্রায় এসে উপনীত হয়েছে। বিরোধী দলকে রাজনীতির ময়দান থেকে সরিয়ে দিতে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা যেন ক্ষমতাসীনদের রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। দেশকে বিরোধী দলশুন্য করার ধারাবাহিক অপকর্মের অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জ জেলাধীন বাজিতপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভায় পুলিশী হামলার পর সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রণি ভূঁইয়া, যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা আলী জাহানগীর, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আফজালকে গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা দায়ের এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে নিকলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বানচাল করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে জনজীবনে যখন আতঙ্কিত অবস্থা, তখন সরকার সর্বক্ষেত্রে তাদের ব্যর্থতা ঢাকতেই দেশব্যাপী বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তবে সকল অপকর্ম ও অপশাসনের অবসান ঘটাতে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ। নিষ্ঠুর সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ণে ভীত না হয়ে দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বজ্রকঠিন শপথ নিতে হবে।”
এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জ জেলাধীন নিকলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভায় পুলিশ হামলা চালিয়ে সভা বানচাল করে দিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় উল্লিখিত গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা বানোয়াট ও অসত্য মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
Leave a Reply