ঝিনাইদহ জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্দোগে, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে, এক মতবিনিময় সভা ঝিনাইদহ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান পপপু এর সভাপতিত্বে ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারন সম্পাদক রেজাউল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাডঃ মশিয়ুর রহমান, প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ্যাডঃ এমএ মজিদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডঃ এমএ মালেক, আক্তারুজ্জামান, জাহিদুজ্জামান মনা, এ্যাডঃ মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, আঃ মজিদ বিশ্বাস, মৎসজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক একেএম ওয়াজ্জেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুহুল আমিন পিকুল, সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান সিদ্দিক, সিনিয়র যুগ্নসাধারন সম্পাদক সাইফুজ্জামান রিন্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সহ ঝিনাইদহ জেলাধীন ১২ টি ইউনিটের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির আহবায়ক, সদস্যসচিব, যুগ্মআহবায়ক বৃন্দ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকদল এর সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
মতবিনিময়কালে তৃনমূল নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথী এ্যাডঃ মসিউর রহমান বলেন গনতান্ত্রিক মুক্তির আন্দোলনে ঐক্যের বিকল্প নাই। সেজন্যই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রস্ততি নিন। যারা আগের রাতে ভোট চুরি করে নিয়ে যায়, যারা ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। আজকে তারা মিডিয়াকে করায়ত্ব করেছে। সাংবাদিকদের হাত-পা বাঁধা। সাংবাদিক কনক সারোয়ার জানের ভয়ে পালিয়ে গিয়ে আমেরিকায় একটি নিউজ পোর্টাল চালায়। সেই অপরাধে তার অসহায় বোনকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে রিমাণ্ডে নিয়েছে।
প্রধান বক্তা এ্যাডঃ আব্দুল মজিদ বলেন, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক জননেতা তারেক রহমান যে আস্থা রেখে আমাদের উপর দায়িত্ব অর্পন করেছেন তারই লক্ষে আমরা জেলা বিএনপির বিভিন্ন সকল ইউনিটকে শক্ত অবস্থানে আনার জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছি। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি সর্বাত্মক ভুমিকা পালন করবে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবকদল এর সভাপতি সাজেদুর রহমান পপপু বলেন দেশ এখন অন্ধকার সময় পার করছে, দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তার কোনো গ্যারান্টি নেই। দেশ একটি বৃহৎ কারাগারে পরিনত হয়েছে। দেশের গনতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছে। দেশমাতাকে সম্পুর্ণ নিজের পকেটের কোটের মাধ্যমে কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। তাকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই। তাই জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে আগামীদিনের যেকোনো আন্দোলন সংগ্রামে জেলা বিএনপির সাথে একাত্বতা ঘোষনা করেন। জেলার সকল ইউনিট সাজেদুর রহমান পপপুর সাথে একমত হয়ে হাত তুলে সমর্থন জানান।
জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারন সম্পাদক রেজাউল ইসলাম বলেন, এই সরকার দীর্ঘ ১২ বছর যাবত আমাদের ওপরে অত্যাচার নির্যাতন করছে। শুধু বিএনপি নয়, এদেশের মানুষের ওপরে নির্যাতন করছে। আজকে শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের কোনো আস্থা নাই। আওয়ামী লীগের ওপরে কোনো আস্থা নাই। কারণ এরা এই দেশের মানুষের যে স্বপ্ন, যে আশা-আকাঙ্ক্ষা সবগুলোকে চুরমার করে দিয়েছে। তিনি জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে আগামীদিনের যেকোনো আন্দোলন সংগ্রামে জেলা বিএনপির সাথে একাত্বতা ঘোষনা করেন।
Leave a Reply