ফরিদপুরে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে এক কিশোরীকে (১৩) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায়। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে।
ওই কিশোরী বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালিত ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা জানান, গত সোমবার দিবাগত রাতে ১টা ৫০ মিনিট থেকে ৩টা পর্যন্ত ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ও ডিক্রিরচর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে এ ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলো- ডিক্রিরচর ইউনিয়নের আইজুদ্দিন মাতুব্বরের কান্দি গ্রামের বাসিন্দা অটোচালক আকাশ শেখ (১৮), রাজমিস্ত্রির সহযোগী রনি শেখ (১৮) ও নর্থ চ্যানেল পূর্বডাঙ্গী গ্রামের ট্রলিচালক শিপন শেখ (১৯)।
বক্তব্যে বলা হয়, রোববার রাত সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ফরিদপুর সদরে চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের আছিরউদ্দিন মুন্সীর ডাঙ্গীর নিকলী হাওরে জনৈক ইদ্রিস শেখের রসুন ক্ষেতে এ সংবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এর আগে রাত ১০টার দিকে ওই কিশোরী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে বাড়ির বাইরে এলে পাশের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের একটি গ্রাম থেকে চার যুবক তাকে মুখ চেপে ধরে ইজিবাইকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই তরুণীকে একটি ফাঁকা মাঠে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরিবারের সদস্যরা কিশোরীকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এম এ জলিল বলেন, এ ব্যাপারে ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে সোমবার দিবাগত রাতে আকাশসহ অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরিদপুর সদর সার্কেল সুমন রঞ্জন সরকার জানান, প্রযুক্তির সহায়তায় এ ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় আসামি আকাশ শেখকে গত সোমবার দিবাগত রাত ১টা ৫০ মিনিটে ফরিদপুর সদরের টেপাখোলা বেড়িবাঁধ এলাকায় অবস্থিত মিলন পালের ইটের ভাটার পেছন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাত আড়াইটার দিকে রনিকে এবং রাত ৩টার দিকে শিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল খায়ের বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামিকে মঙ্গলবার বিকেলে জেলার এক নম্বর আমলি আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
Leave a Reply