1. admin@banglahdtv.com : Bangla HD TV :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন

আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো আস্থা ও বিশ্বাস নেই- আলহাজ্জ মো: জামির হোসেন

ডেস্ক রিপোর্ট
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২
  • ২১৬ Time View
আলহাজ্ব মো: জামির হোসেন, সহ-সভাপতি , কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল ও টিম প্রধান খুলনা বিভাগ।

ঘর পোড়া গরু সিঁদুর দেখলে ভয় পায়। আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো আস্থা ও বিশ্বাস নেই। ন্যাড়া নাকি একবারই বেলতলায় যায়। ২০২৩ সালের নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দল স্বাভাবিকভাবেই অংশগ্রহণ করবে বলে বিশ্বাস করা কঠিন। বিএনপি যে কোনো মতেই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না, তা স্পষ্টতর হয়েছে। জাতীয় পার্টির বিজ্ঞ নেতা জিএম কাদের দলটিকে গণমুখী করার চেষ্টা করছেন। রওশন এরশাদ ও বিদিশা দিশাহীনভাবে সরকারের আনুক‚ল্য পাবেন বলেই ধারণা করা যায়। জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন হারিয়েছে। ২০ দলীয় জোটের প্রতিটি দল পৃথক পৃথকভাবে বলেছেÑ তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। বাম দলগুলোও একই মত প্রকাশ করেছে। সে ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে ২০০৬ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়া অসম্ভব নয়। একটি অস্বাভাবিক অবস্থা তৈরি হতে পারে। দেশে যে অরাজকতা চলছে, তাতে হঠাৎ করে জনগণ ক্ষিপ্ত হতে পারে। দ্রব্যমূল্যের দুর্দশায় মানুষ দিশেহারা। তারা উপযুক্ত নেতৃত্ব পেলে জ্বলে উঠতে পারে। আওয়ামী লীগ এরকম বেকায়দায় পড়লে জাতীয় সরকার কবুল করতে পারে। তার কারণ, জাতীয় সরকার তাদেরকে যেমন রক্তপাত থেকে রক্ষা করবে, তেমনি অসাংবিধানিক পথও রুদ্ধ করে দেবে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করে, আওয়ামী লীগ স্বাভাবিকভাবে কোনোমতেই নির্বাচনকালীন সরকার মেনে নেবে না। তাদেরকে গণআন্দোলনের মাধ্যমে এ ফর্মুলা গ্রহণে বাধ্য করতে হবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অস্বাভাবিক আচরণ করতে পারে। তারা এই সংসদের মেয়াদ দ্বিতীয়বারের জন্য বাড়িয়ে দিতে পারে। জরুরি অবস্থা জারি করতে পারে। সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে পারে। এসবই তাদের ক্ষমতায় থাকা ও নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের ভাবনা। এর বিপরীতে নাগরিক সমাজ পেশাজীবী স¤প্রদায়, রাজনৈতিক নেতারা একত্রিত হয়ে গণআন্দোলনকে নির্বাচন পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলে একটি কাক্সিক্ষত ভোটবিপ্লব হয়ে যেতে পারে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো পাকিস্তান আমলের সম্মিলিত বিরোধী দল গড়ার উদ্যোগ নিতে পারে। সেখানে ডান-বাম ও পূর্ব-পশ্চিম ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একাট্টা হতে পারে। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে তারা ১৯৯০ সালের কর্মকৌশল অনুসরণ করতে পারে। এ কর্মকৌশল অনুযায়ী একই লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের পৃথক পৃথক আন্দোলন হতে পারে। এভাবে বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্য সাধন অস্বাভাবিক বিষয় নয়। আর সাধারণ নির্বাচনে সমঝোতার মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচনে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলে ব্যালট বিপ্লব অবশ্যম্ভাবীভাবে সফল হবে। সেখানে বড় বড় দলগুলোর বড় ধরনের ছাড় দিতে হবে। এখনকার অবস্থায় বিষয়টি অসম্ভব মনে হলেও অবাস্তব নয়।

বিএনপির শীর্ষ নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এরকম সম্ভাবনার কথা ব্যক্ত করেছেন। তিনি তার ‘ফখরুদ্দিন-মইন উদ্দিনের কারাগারে ৬১৬ দিন’ গ্রন্থে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এ ধরনের ব্যালট বিপ্লবের উদাহরণ দিয়েছেন। ২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি পাকিস্তানে স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে পিপিপি ও নেওয়াজ মুসলিম লীগ জয়লাভ করে। একইভাবে ওই বছরই থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সামরিক বাহিনীকে হটিয়ে জনগণের বিজয় নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশে জনগণের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনা করলে কাক্সিক্ষত ব্যালট বিপ্লব ঘটতে পারে। এ ক্ষেত্রে একটি মাত্র শর্ত জনগণ ও রাজনীতিবিদদের সুদৃঢ় ও নিঃশর্ত ঐক্য। টি এইচ গ্রিনের মতো আমরাও বিশ্বাস করি, ‘ডেমোক্র্যাসি মে বি ডিফিটেড ইন মেনি ব্যাটলস, বাট ইট উইনস দ্য লাস্ট’।

লেখক: আলহাজ্ব মো: জামির হোসেন, সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, কেন্দ্রীয় কমিটি ও টিম প্রধান খুলনা বিভাগ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 banglahdtv
Design & Develop BY Coder Boss