এ ঘটনার পর বিকেল ৪টার দিকে প্রেস ব্রিফিং করেছে বিএনপি। প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী ও বিএনপি’র তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল।

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ১০ দফা দাবিতে শনিবার দুপুর ২টায় নগরীর কেডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয় চত্বরে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ছিল। খুলনা থানার সামনে দিয়ে একটি খন্ড মিছিল এই কর্মসূচিতে আসার সময় পুলিশ তাদেরকে বাঁধা দেয় এবং লাঠিচার্জ করে।

তারা আরো দাবী করে জানান- পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলাকালে  পুলিশের হামলায় বিএনপির কমপক্ষে ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

কর্মসূচিতে মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, জেলা আহবায়ক আমীর এজাজ খান, নগর সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল আলম নান্নুসহ দলের মহানগর ও জেলা শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মো. মিজানুর রহমান মিল্টন জানান, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম মফিজ,
জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ, ছাত্রদল নেতা বীরেশ্বর মন্ডল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক রুবায়েত, মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরি হাসানুর রশিদ মিরাজ, নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইশতিয়াক হোসেন ইস্তি ও রূপসা উপজেলা ছাত্রদল নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ সহ ১২ জন আহত হয়েছে।

অপরদিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আজকে বিএনপি’র একটি প্রোগ্রাম ছিল। আমরা এখানে অবস্থান করছিলাম যাতে শান্তিশৃঙ্খলায় বিঘ্ন না ঘটে। কিন্তু হঠাৎ করে বিএনপির দু’টি দল দুইদিক থেকে আসে, স্লোগান দিতে থাকে। এদের মধ্যে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছেলেরা হঠাৎ করে আমাদের ইটপাটকেল মারা শুরু করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য গ্যাসগান ও শর্টগান মারতে বাধ্য হই। তাদের ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।