বিএনপির ২৩ সাংগঠনিক জেলা কমিটির কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হাইকমান্ড। এসব জেলায় ৬ মাস মেয়াদের আহ্বায়ক কমিটি বিভিন্ন অজুহাতে বছরের পর বছর পার করছে। তাদের অধীনে থাকা অর্ধেক ইউনিটের কমিটিও গঠন করতে পারেনি। যেসব কমিটি গঠন করেছে তা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা পড়েছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-গ্রুপিং চরমে থাকায় সাংগঠনিক অবস্থাও এখন নাজুক। কয়েকটিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি দুগ্রুপ পৃথকভাবেও পালন করছে।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও অবহিত করা হয়েছে। আন্দোলনে গতি আনতে এসব জেলার নিষ্ক্রিয় ও বিতর্কিত নেতাদের বাদ দিয়ে কমিটি পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কাজও শুরু করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। বিএনপি দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানিয়েছেন এসব তথ্য।
সূত্রমতে-মাদারীপুর, নেত্রকোনা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, বাগেরহাট, মৌলভীবাজার, বান্দরবান, চাঁদপুর, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরিশাল মহানগর ও উত্তর, ফরিদপুর, রাজবাড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পাবনা, রাজশাহী জেলা ও মহানগর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, গাজীপুর মহানগর, শরীয়তপুর এ ২৩ সাংগঠনিক জেলার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড এখন হযবরল অবস্থা। কোনো কোনো জেলার নেতারা দুভাগ, এমনকি তিন ভাগেও বিভক্ত।
নেতারা জানান, সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ দশ দফা দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি। এ অবস্থায় ২৩ সাংগঠনিক জেলার বিষয়টি দ্রুত সুরাহা করতে না পারলে আন্দোলনে প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
জানতে চাইলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ যুগান্তরকে বলেন, ‘কিছু জেলায় ঝামেলা আছে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। ঝামেলা নিরসনের জন্য যেখানে যেভাবে করা দরকার তা করছি। আন্দোলনকে সফল করতে দ্রুতই সব সমাধান করা হবে।’
অনেক জেলায় আবার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে বিএনপির সমন্বয়হীতার কারণে কর্মসূচি পালনেও প্রভাব পড়ছে বলে নেতারা মনে করছেন। তাই এখন থেকে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে বিএনপির সঙ্গে সমন্বয় করে কেন্দ্র ঘোষিত সব কর্মসূচি পালন করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকমান্ড। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠকও হয়। এতে সব বিভাগীয় সংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের পাশাপাশি ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় শীর্ষ দুই নেতা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারাও ছিলেন।
Leave a Reply