1. admin@banglahdtv.com : Bangla HD TV :
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৫:২৯ অপরাহ্ন

মহীয়সী ব্যক্তিত্ব ডা. জুবাইদা রহমান

এস এম গালিব ইমতিয়াজ নাহিদ, সম্পাদক BHDTV
  • Update Time : বুধবার, ২৮ জুন, ২০২৩
  • ১৩১ Time View

ডা. জুবাইদা রহমান। ১৯৭২ সালের ১৮ই জুন সিলেটের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার মাহাবুব আলী খান ও সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর কোলজুড়ে জন্মগ্রহণ করেন জুবাইদা রহমান। তার বাবা রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী বাংলাদেশের ৩য় নৌবাহিনীর প্রধান ছিলেন। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি সরকারের যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
তার মাতা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সমাজ সংস্কারক । জাতীয় জীবনে অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ১৯৯৫ সালে তাকে ‘সমাজসেবায় স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়েছিল। তিনি ১৯৭৯ সালে ‘সুরভি’ নামক একটা অলাভজনক সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত সারাদেশে বঞ্চিত ১০ লাখ নারী ও শিশুকে জীবন রক্ষার্থে বিভিন্ন সুরক্ষাসেবা প্রদান করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানী জোবাইদা রহমানের আপন চাচা ছিলেন।
বাংলাদেশের এক নম্বর মেডিকেল কলেজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে ডা. জুবাইদা রহমানের সুনাম রয়েছে।
১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন ডা. জুবাইদা রহমান। ১৯৯৩ সালে তিনি পারিবারিকভাবে তারেক রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে তারেক রহমানের প্যারোলে জেলমুক্তির পর শিক্ষাছুটি নিয়ে স্বামীর চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান তিনি। স্বামীর চিকিৎসা শেষ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার ছুটি বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন ডা. জুবাইদা রহমান। কিন্তু রাজনৈতিক বিবেচনায় ছুটি মঞ্জুর করেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে দীর্ঘ অনুপস্থিত দেখিয়ে চাকুরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, যা সরকারের হীন প্রচেষ্টারই অংশ।
ডা. জুবাইদা রহমান ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন থেকে মেডিসিন বিভাগে অধ্যায়ন করে রেকর্ড নম্বর ও স্বর্ণপদক নিয়ে সম্মানজনক ‘এমএসসি’ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বর্তমানে প্রি কার্ডিওলজি বিষয়ে গবেষণা করছেন।
ডা. জুবাইদা রহমানের দক্ষ চিকিৎসা সেবা থেকে এ দেশের সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করার লক্ষ্যে বিগত সরকারের দায়ের করা মিথ্যা ও প্রহসনের মামলা তার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সচল করে জগদ্দল সরকার। তারই অংশ হিসেবে ডা. জুবাইদা রহমান ও তাঁর মাতা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে কাফরুল থানার মামলা পুনরায় চালু করে সরকারের আজ্ঞাবহ দুদক। স্বামী তারেক রহমানকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় জুবাইদা রহমান ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে। সেখানে বলা হয়, তারেক রহমান তার স্ত্রীর নামে ৩৫ লাখ টাকার দুটি এফডিআর করে দিয়েছিলেন যেটা জুবাইদা রহমান তাঁর স্বামীকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছে।
লন্ডন প্রবাস জীবনে থেকেও তিনি বাংলাদেশের প্রয়োজনে সর্বদা সচেষ্ট থেকেছেন। বিশ্ব করোনাভাইরাস মহামারিতে গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত স্বল্প মূল্যের রোগ নির্নায়ক কিট, খাদ্য সহায়তা, ওষুধ সহায়তাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়াও আম্ফান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের স্বাস্থ্যসেবা, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, বসতবাড়ির জলাবদ্ধতা নিস্কাশনের জন্য মটর ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও ব্যক্তিকে দূর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করেছেন তিনি। তিনি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন-জেডআরএফ’র মাধ্যমে সারাদেশে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সমন্বয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য খণ্ডখণ্ড মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনায় জনস্বার্থে ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। তিনি মরহুম মাহবুব আলী ফাউন্ডেশন এবং সুরভী নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনস্বার্থে ব্যাপক অবদান রেখে যাচ্ছেন। তিনি স্বামীর ছায়াসঙ্গী হিসেবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখার পাশাপাশি শ্রদ্ধাভাজন শ্বাশুড়ি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আপোসহীন নেত্রী, তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার যাবতীয় পরামর্শ তিনি সুদূর পরবাসে থেকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন। অপরদিকে মায়ের মমতায় একমাত্র কন্যাকে ব্যারিস্টার হিসেবে গড়ে তুলেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিষয়ভিত্তিক কবিতা রচনায়ও পারদর্শী। বাংলাদেশের কোমলমতি শিশু কিশোরীদের বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে বিজ্ঞান মেলার আয়োজনে ভুমিকা ও উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছেন।
প্রখর ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, মার্জিত, শ্রদ্ধেয় ডা. জুবাইদা রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অনেককেই প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গেছে, যেটা ঈর্শ্বানিত হওয়ার অন্যতম কারণ। হিংসার বর্শীভূত হয়ে পেশাগত জীবন থেকে তাকে দূরে সরিয়ে রাখার লক্ষ্যে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রহসনের মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান না করে তাকে দণ্ডপ্রদানে সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে।
পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের স্বনামধন্য দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকাও বিভিন্ন সময়ে ডা. জুবাইদা রহমানের প্রশংসায় প্রতিবেদন প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
সকল ষড়যন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে তিনি তাঁর মেধা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবেন এবং আগামী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতকে পাশ্চাত্য আদলের স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প চালু করতে নিয়ামক ভুমিকা পালন করবেন, ইনশাআল্লাহ।
লেখক এসএম গালিব ইমতেয়াজ নাহিদ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক দল।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 banglahdtv
Design & Develop BY Coder Boss