নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন আলমগীর হোসেন। এ সময়ে দুই কিশোর দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে তার শরীরে আঘাত করেন। এ ঘটনায় ওই যুবক প্রতিবাদ করলে উল্টো মোটরসাইকেলের চালক তাকে চড় মারেন। এরপর আরও কয়েকজনকে ডেকে এনে ফের মারধর করে আলমগীরকে। হেলমেট দিয়ে আঘাত করা হয় শরীরে বিভিন্ন স্থানে। পরণের কাপড়চোপড় টেনে ছিড়ে ফেলা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে প্রচণ্ড মারধরের শিকার হয়ে এখন তিনি নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন আলমগীর। সেখানে তিনি জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি হেঁটে যাওয়ার সময়ে শহরের আমলাপাড়া মাছুয়া পাড়া এলাকার ইসলাম মিয়ার ছেলে অনিক ও তার এক বন্ধু বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল।মোটরসাইকেলের চাকা তার শরীরে লাগলে তিনি প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে অনিক তাকে থাপ্পড় মারে। এতে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অনিকের ডাকে তিনটি মোটরসাইকেল আরও ছয় সাতজন ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ১৫ মিনিট চড় থাপ্পড় ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। আর কয়েকজন তাদের মাথার হেলমেট দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। জামা কাপড় ছিড়ে তার সঙ্গে থাকা সাড়ে ৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আলমগীর হোসেনের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ওরা আমার ভাইয়ের কানে প্রচণ্ড আঘাত করেছে। এতে করে আমার ভাই কিছু শুনতে পারছে না। তার দাবি হামলাকারীরা চিহ্নিত কিশোর গ্যাং। ওরা নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি শাহ জামান জানান, ঘটনা শোনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply