বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় মো. আব্দুল খালেক সরকার (৫০) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন একই ইউনিয়নের স্বামী পরিত্যক্তা এক নারী।
মো. আব্দুল খালেক সরকার উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সৈদপুর কল্যাণী গ্রামের মৃত তছলিম উদ্দিনের ছেলে।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন প্রধান জানান, অভিযোগকারী নারী বিদেশে থাকা অবস্থায় নিজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল খালেক সরকারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি করে।
পরে দেশে আসার পর থেকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মো. আব্দুল খালেক সরকার তার সঙ্গে শারীরিকভাবে সম্পর্ক তৈরি করে। বর্তমানে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে ওই নারী কৌশলে তাদের শারীরিক মিলনের কিছু চিত্র ভিডিও ধারণ করেন।
এ বিষয়ে বুধবার তিনি নিজে বাদী হয়ে বীরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে নিজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল খালেক সরকারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পর পর দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। তাই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে একটি কুচক্রী মহল আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এটি সেই ষড়যন্ত্রের অংশ।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই নাজমুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্ত কাজ এবং আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে আইনের মুখোমুখী করা হবে।
এদিকে দুপুরে খালেক সরকারের বিচারের দাবিতে পৌর শহরের বিজয় চত্বর এলাকায় বীরগঞ্জবাসীর ব্যানারে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Leave a Reply