রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশের আগে ও পরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আট পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আটক করা হয়েছে অন্তত ৫০ জনকে। প্রেসক্লাব চত্বর যেন এক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ সময় লাঠিচার্জে আহত হয়ে আটক এক রক্তাক্ত ছাত্রদল নেতাকে ছিনিয়ে নেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিএনপি নেতাকর্মী আর পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে এমনই উত্তাল হয়ে ওঠে তোপখানা রোড।
দুপুর ১২টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন যখন বক্তব্য রাখছিলেন, তখন আশপাশে পুলিশের উপস্থিতি দেখে বক্তব্য শেষ হওয়ার আগে ভীত হয়ে সমাবেশস্থল ছেড়ে যেতে থাকেন নেতাকর্মীরা। এ সময় প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে বিএনপি কর্মীদের ছুড়ে দেওয়া একটি ইটের টুকরা আঘাত করে এক পুলিশ সদস্যের মাথায়। এরপরই শুরু হয় এই ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া আর ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা।
ইটপাটকেল নিক্ষেপের একপর্যায়ে পুলিশ শুরু করে লাঠিচার্জ। খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ অন্যান্য নেতারা প্রবেশ করেন প্রেসক্লাবে। প্রায় আধা ঘণ্টা পর শান্ত হয় পরিস্থিতি।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সমাবেশ শুরুর আগেও এমন সংঘর্ষ হয়। ১০টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও এর আগেই নেতাকর্মীরা জড়ো হন প্রেসক্লাবের সামনে। এ সময় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ রাস্তা ছেড়ে দাঁড়ানোর কথা বললে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ বলছে, অশান্ত নেতাকর্মীদের শান্ত হতে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করায় নেতাকর্মীরা তাদের ওপর চড়াও হয়। আর এতেই পরিস্থিতির অবনতি হয়।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটকের দাবি করেছে বিএনপি। সংঘর্ষের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিনা উসকানিতে পুলিশ হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এর আগে সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে আঘাত এলে পাল্টা আঘাত করার জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশনা দেন দলের স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও বিএনপির নেতাকর্মী আহত হয়েছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি।
Leave a Reply