সরকার সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে রেখেছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের কাছে একেবারেই চেনা-জানা যে রাজনৈতিক দলটি দীর্ঘকাল সংগ্রাম করেছে গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের অধিকারের জন্য সেই দলটির হাতেই গত এক যুগ ধরে এদেশের মানুষ যেভাবে অত্যাচারি-নির্যাতিত হচ্ছে এটা ধারণার বাইরে। সারাদেশে একটা ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে।’
বুধবার দুপুরে নিঁখোজ এম ইলিয়াস আলীর পরিবারের সাথে কথা বলার পরে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
ঈদ উপলক্ষে নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর পরিবারের খোঁজ-খবর নিতে দুপুরে বনানীর বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব। তিনি ইলিয়াসের সহধর্মিনী তাহসিনা রুশদীর লুনা, দুই ছেলে আবরার ইলিয়াস ও লাবিদ সারার সাথে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন। মহাসচিব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহারও তাদের হাতে তুলে দেন।
দুই ছেলে ও এক মেয়ে সাইয়ারা নাওয়ালকে নিয়ে বনানীর বাসায় থাকেন তাহমিনা রুশদীর লুনা। তিনি দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন এই যে, এখানে ঢুকার আগে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৫ জন গোয়েন্দা বাহিনীর লোক দাঁড়িয়ে আছে। তাদের কাজটাই হচ্ছে এভাবে গোটা বাংলাদেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা। এই করে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে আমরা বড়াই করি, কথা বলি, স্বাধীনতার চেতনার কথা বলি এই স্বাধীনতার চেতনার পরিণতি কি এটা? এই পরিণতি হয়েছে।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশে একটা দুইটা নয়, আমাদের রাজনৈতিক নেতা যারা সিনিয়র লিডারস, তারপরে ছাত্রনেতা, যুবনেতা তারাও গুম হয়ে গেছেন। আমাদের হিসাব অনুযায়ী ৫১৭ জন গুম হয়ে গেছেন, নাই উঠিয়ে নিয়ে গেছে। তাদের পরিবার আশপাশের সবাই বলেছেন যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা নিয়ে গেছে, সাদা পোষাকের লোকেরা নিয়ে গেছে তারা এখন পর্যন্ত ফিরে আসেনি। এই রাজনৈতিক কারণে একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়া এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত দুঃখের, কষ্টের।
এ সময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন ও যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply