রাজশাহীর পুঠিয়ায় পাওনা টাকা চাওয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ তার লোকজন এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে মারপিট করে নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওষুধ ব্যবসায়ী ছাত্রলীগের উপজেলা সভাপতি শাকিবুর রহমান মিঠুসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ অভিযোগটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেও গত চার দিনে অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি।

শুক্রবার ভুক্তভোগী ওষুধ ব্যবসায়ী মহিবুর রহমান  জানান, উপজেলার জিউপাড়া-সরিষাবাড়ি বাজারে তার একটি ওষুধের ফার্মেসি রয়েছে। তিনি একজন পল্লী চিকিৎসকও। এই সুবাদে গত কয়েক মাস আগে প্রতিবেশী আবুল বাশারকে সাত হাজার টাকা ধার দেন। তাকে ধার পরিশোধ করতে বলা হলে টালবাহানা শুরু করেন।

মহিবুর রহমান বলেন, ১৪ মে আমার স্ত্রী অসুস্থ হলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। স্ত্রীর চিকিৎসার অর্থ যোগান দিতে ১৫ মে সন্ধ্যার দিকে আবুল বাশারের কাছে পাওনা টাকা চাওয়া হয়। তিনি টাকা না দিয়ে উল্টা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাকিবুর রহমান মিঠুকে ডেকে আনেন। এরপর মিঠু আমার দোকানে এসে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তিনি
ছাত্রলীগের আরো পাঁচ-ছয়জন নেতাকর্মীকে ডেকে আনেন। এরপর তারা রড ও লাঠি দিয়ে আমাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। একপর্যায়ে মেহেদী নামের একজন আমার ক্যাশ বক্স থেকে ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে যান। দোকানে মারপিট ও ছিনতাইয়ের খবর পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমার স্ত্রী মারা যান।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ছাত্রলীগ সভাপতি শাকিবুর রহমান মিঠুকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি এজাহার দেয়া হয়েছে। কিন্তু এজাহার দায়েরের চার দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি এবং এ পর্যন্ত কাউকে আটক করেনি।

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাকিবুর রহমান মিঠু বলেন, ওষুধ ব্যবসায়ী মহিবুর
আমার একজন কাছের লোক আবুল বাশারকে মারধর করেছেন। খবর পেয়ে স্থানীয় কিছু ছেলেরা মহিবুরের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। কথা কাটাকাটি একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তবে আমি তাকে মারধর করিনি। আমার ওপর মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, ওই
ভুক্তভোগী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। শুক্র-শনিবারের মধ্যে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।