নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাবেক সেক্রেটারি রুহুল আমিন সরকারকে (৫০) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার তাকে আটক করে বাগাতিপাড়া থানা পুলিশ।
গতকাল শনিবার রাতে আহত রুহুল আমিনের ছেলে তানজীম সরকার আটককৃত যুবলীগ নেতা সাদেকুর রহমানসহ দু’জনের নাম উল্লেখ করে তার বাবাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলায আরো সাত থেকে আটজনের কথা উল্লেখ করা হয়। তবে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘ দিন থেকে উপজেলা দলিল লেখক সমিতির নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। কিছু দিন পর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে রুহুল আমিন সরকার বাড়ি থেকে তার ছোট ভগ্নিপতি রাসেলকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলে একই এলাকার জয়ন্তিপুর গ্রামে দলিল লেখকদের একটি মিটিংয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিন থেকে চারজন তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে রুহুল আমিন সরকারকে বেধড়ক মারপিট করে।
এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করতে গেলে হামলাকারীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থলের অদুরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সাদা মাইক্রেবাসে করে চলে যায়।
এ ঘটনায় নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো: মুহসিন, বাগাতিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলামসহ ডিবি পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শিদের সাথে কথা বলেন।
বাগাতিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলামের কাছে সাদেকুর রহমানকে আটকের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকল অভিযুক্তকেই আটকের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply