যশোরের একটি তথাকথিত মাদক নিরাময় কেন্দ্রে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আটক ১৪ জনের মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া অপর ১১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেয়া সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ২৭ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার বিকেলে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদৎ হোসেন ওই তিন আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করেন। একইসাথে শুনানি শেষে রিমান্ড শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে এ মামলার ১৪ আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইনসপেক্টর রকিবুজ্জামান জানান, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকার মনিরুজ্জামানের ছেলে মাহফুজুর রহমান মাদকাসক্ত ছিলেন। তাকে গত ২৬ এপ্রিল যশোরে ‘মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে তার পরিবার। গত শনিবার দুপুরে মাহফুজুরের লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেখে আসে নিরাময় কেন্দ্রের লোকজন। একইসাথে পরিবারকে তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
তিনি আরো জানান, নিরাময় কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় মাহফুজুরের পরিবার থানায় অভিযোগ দেয়। এরপর তদন্তে নির্যাতনে হত্যার বিষয়টি সামনে আসে। এ সংক্রান্ত সিসিটিভি ফুটেজও পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যায়, বেশকিছু লোক মিলে এক যুবককে পেটাচ্ছে। এরপর মাহফুজুরের বাবা ১৪ জনকে আসামি করে যশোর কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। পুলিশ ওই ১৪ জনকে গ্রেফতার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর মধ্যে তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন এবং অন্য ১১ জনকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়।
কোর্ট পরিদর্শক ইনসপেক্টর মাহাবুবুর রহমান বলেন, এ মামলার আসামি রিয়াদ, শাহীনুর রহমান, রেজাউল করিম রানা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া অপর ১১ আসামির রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী ২৭ মে দিন ধার্য করেছেন বিচারক।
Leave a Reply